গণজাগরণ মঞ্চঃ ৩১ মার্চ সংসদ অভিমুখে গণপদযাত্রা, ৪ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে ৪ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই দিন সকাল ১১টায় গণজাগরণ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। একই সময়ে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ৩১ মার্চ সকাল ১১টায় সংসদ অভিমুখে গণপদযাত্রা বের হবে গণজাগরণ চত্বর থেকে। এ পদযাত্রা থেকে গণজাগরণ চত্বরসহ সারা দেশ থেকে সংগৃহীত গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিনামা তুলে দেয়া হবে জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে। গণজাগরণ চত্বরে ৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ৬ এপ্রিল বিকেল ৪টায় গণসমাবেশ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে চলমান গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশ থেকে গণআন্দোলনের নতুন এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেল সোয়া ৩টায় টাঙ্গাইলের বাহাদুর মিয়ার নেতৃত্বাধীন দলের সারি গানের মধ্যে দিয়ে এ মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিনের মতো চলে প্রতিবাদী গান ও স্লোগান। স্বাধীনতার ৪২ বছর পূর্তির এ মহাসমাবেশ কর্মসূচিতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজারো জনতা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীও জড়ো হন গণজাগরণ চত্বরে। মহাসমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে নতুন প্রজন্মের ৪২ জন তরুণ-তরুণীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ইমরান এইচ সরকারের হাতে পতাকা তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান সেনাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল(অব.) একে খন্দকার। নতুন প্রজন্মের কাছে পতাকা তুলে দেয়ার পর তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশে আসা সকল মুক্তিযোদ্ধার হাতে প্রদীপ তুলে দেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকরা। এ সময় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানটি পরিবেশন করা হয়। প্রদীপ হস্তান্তরে তরুণ প্রজন্মের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ডা. ইমরান এইচ সরকার।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম রঞ্জু, রাহেলা বেগম, এয়ার ভাইস মার্শাল(অব.) একে খন্দকার, মেজর জেনারেল (অব.) একে শফিউল্লাহ, লে. কর্নেল(অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ চৌধুরী, সৈয়দ মো সামসুল কুতুব। আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, আব্দুল হাই সিকদার, নুরুল আলম, সাংবাদিক আবেদ খান, শফিউল বারি, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, নুর হোসেন, অরুণ কুমার, সাইফুল ইসলাম তারা, ফরিদ উদ্দিন, লে. কর্নেল (অব.) নুর নবী খান, ইসমত জামান, হাফেজ বাবু, আনোয়ার, আবেদা সুলতানা বকুল, শিরিন আক্তার, রতনা, শাহানা, মিনু হক, আতাউর রহমানসহ আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া মহাসমাবেশে এসে একাত্মতা জানান ১৪ জন নারী মুক্তিযোদ্ধাও। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার এসব নারী মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন।