আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন চরমোনাই পীর
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশ থেকে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণআস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, নাস্তিক-মুরতাদদের শাস্তি দিতে আইন পাস ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে তাদের এ দাবি পূরণ না হলে ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের লং মার্চের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাতে অংশ নেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এরপরও এ দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। ২৯ মার্চ (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি ‘নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে আল্লামা শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের ডাকা লং মার্চের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। কয়েক লাখ মুসুল্লি এ সমাবেশে অংশ নেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার করা না হলে ৬ এপ্রিল আল্লামা শফী আহুত লংমার্চে অংশ নেবে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।’ এছাড়া মিয়ানমারে মুসলিম ‘নিধন’ বন্ধের দাবিতে আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে স্মারকলিপি, ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং ৮-৯ মে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ‘দেশের টুপি-দাড়িওয়ালা সবাই জামায়াত-শিবির না। জামায়াত-শিবিরের নামে টুপি-দাড়ির অসম্মান করা চলবে না।’ ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘তথাকথিত জিহাদি বইয়ের নাম করে নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।’ ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘জাতীয় সংসদে ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের প্রতিহতের আইন করতে হবে।’ অন্যথায় তৌহিদি জনতা ইসলামের প্রতি কটূক্তিকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম সাংবাদিকদের কাছে জানাতে চেয়ে বলেন, ‘আপনারা কি সাগর-রুনি হত্যার বিচার পেয়েছেন? পান নাই। কারণ মাদার গাছে কখনো আম হয় না। এই সরকারের কাছ থেকে এটা পাবেন না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, শাহাবাগে এই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি উন্নত প্রস্টিটিউট খানা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই- শাহাবাগে তরুণরা নতুন করে মুক্তিযুদ্ধে নেমেছে নাকি যৌনতার যুদ্ধে নেমেছে?’ তিনি বলেন, ‘প্রচারণা চালানো হচ্ছে- বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তানিরা নিয়ে যাবে। এটা একটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আমাদের দাদা বাবুরা সময়ের অপেক্ষায় আছে। তাদের জানিয়ে দিতে চাই- আপনাদের অনেক বড় বড় অস্ত্র আছে। আমাদের আছে ইসলাম ও কোরআন। যার শক্তি অনেক বেশি।’