পবা ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সাংবাদিক সম্মেলনঃ রেলের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কার্যকর করার দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বর্তমান সময়ে রেলপথের সম্প্রসারণ, রোলিং স্টক বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রেলগাড়ী চালু হতে যাচ্ছে। এই পুরো ব্যবস্থা সচল রাখতে যাত্রী ও মালবাহী কোচ, ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষন, মেরামত ও নির্মাণ করতে রেলওয়ে কারখানাকে কার্যকর করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। রেলে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য রেলওয়ে কারখানাগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। এজন্য লোকবল বৃদ্ধি, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল এবং অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এজন্য সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। ৩১ মার্চ সকাল ১১ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর সভাকক্ষে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর উদ্যোগে “রেলের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কার্যকর করার দাবীতে” সংবাদ সম্মেলনের বক্তারা এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পবা এর সম্পাদক আবদুস সোবহান। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কামাল আতাউর রহমান, মডার্ণ ক্লাব এর সভাপতি আবুল হাসনাত, পিস এর মহাসচিব ইফমা হোসেন। সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ডেভেলপমেন্ট অফিসার আতিকুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন, যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী গাড়ি ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলায় এগুলির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষনে গতিশীলতা, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেল কারখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলের কারখানাগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। রেলের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে দক্ষ লোকবল নিয়োগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ এবং অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে রেল কারখানায় পূনরায় উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হবে। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেললাইন ও রোলিং স্টক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং এই পুরো ব্যবস্থাকে সচল রাখতে এবং রেলের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে রেল কারখানাগুলো কার্যকর করা প্রয়োজন।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কামাল আতাউর রহমান বলেন, কারখানায় মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে মানসম্মত ও প্রয়োজনীয় মালামাল ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করতে হবে। এমতবস্থায় ক্রয়নীতিমালা সংশোধন করে অপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় বন্ধ করে চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করা প্রয়োজন। মর্ডাণ ক্লাব এর সভাপতি আবুল হাসনাত বলেন, রেলের কারখানাগুলো বর্তমানে লোকবল সংকট, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব, পুরনো যন্ত্রপাতির ফলে উৎপাদন কাজ ব্যহত হচ্ছে। রেল রক্ষার্থে অতি দ্রুত কারখানায় শূন্য পদে লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন। পিস এর মহাসচিব ইফমা হোসেন বলেন, সৈয়দপুর রেল কারখানার পাশে অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় বিশাল ভূসম্পত্তি দখল হয়ে গেছে। সম্পত্তি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় আনা হলে কারখানার বাৎসরিক বাজেট, শ্রমিকদের ওভারটাইম বেতন এবং সর্বোপরি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে পবা এর সম্পাদক আবদুস সোবহান বলেন, গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীকে অবসরে পাঠানো হয়। এতে করে লোকবলের অভাবে কারখানার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যহত হচ্ছে। রেলগাড়ী দরকার, ইঞ্জিন দরকার ঠিক তেমনি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এগুলো ঠিক রাখার জন্য কারখানারও দরকার। কারখানা আধুনিকায়নের সাথে সাথে দ্রুত লোকবল নিয়োগ এবং প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।