উপকূলে শোকের মাতম!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে ভাসমান চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ১৯ হতভাগ্য জেলের লাশ নৌবাহিনী কুতুবদিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এনিয়ে ২ দিনে ২২ জন জেলের লাশ উদ্ধার হলো। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বিকালে একটি কান্ট্রিবোটে লাশগুলো কুতুবদিয়া উপকূল হয়ে লাশ গুলো পেকুয়ার মগনামা ঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরে লাশ গুলো ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যূদের কবলে পড়ে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন এই সকল জেলেরা। জলদস্যূরা গত ২৮ মার্চ এই সকল জেলেদের হাত-পা বেঁধে সাগরে ফেলে দিয়ে মাছধরার ট্রলার লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় জেলেরা সাগরে লাশ ভাসতে দেখে বাঁশখালী উপকূলের অধিবাসিদের জানান। এই ঘটনার পর রোববার ভাসমান ৩টি লাশ উদ্ধার হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের আশংকা, ডাকাতের কবলে পড়ে নিহতদের লাশের সংখ্যা ৩৬ জন হতে পারে। স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের জাহাজফাঁড়ি এলাকায় ২০টি ক্ষতবিক্ষত লাশ ভাসতে দেখেন মাছ ধরতে যাওয়া বাঁশখালীর জেলেরা। তাদের মধ্যে তিনজনকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তারা। সোমবার উদ্ধার হওয়া লাশগুলো হলো বাঁশখালীর আবুল হোসেনের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দান-২ ট্রলারের জেলে নেজাম উদ্দিন (৩০) ও সগীর আহমদ (৩৮) এবং জাফর আলম সওদাগরের মালিকানাধীন এফবি আল্লার দান-১ ট্রলারের জেলে মোহাম্মদ ইউনুস (২৫)। এদের সবারই বাড়ি বাঁশখালীর শেখেরখিল ইউনিয়নের টেকপাড়ায়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবূল আক্তার জানিয়েছেন,নৌ-বাহিনী লাশ গুলো নিয়ে আসবে পেকুয়ার মগনামা ঘাটে। সেখানে সহকারী পুলিশ সুপার খালেদ উজ্জামানের নেতৃত্তে এক দল পুলিশ অবস্থান করছে। তিনি আরো জানান, লাশ গুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এনে ময়না তদন্ত করে নিকট আত্বীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। চট্রগ্রামের বাশঁখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বাশঁখালীতে নিয়ে আসা ৩ টি লাশের মধ্যে ময়না তদন্তের পর ১ জেলের লাশ নোয়াখালী ও অপর ২ টি বাশঁখালীতে আত্বীয় স্বজনের নিকট হসান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত বাশঁখালীর ১ জেলের ভাই বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে কুতুবদিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।