২৭ প্রগতিশীল সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতাল শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ জামায়াতের ছদ্মাবরণে হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল শনিবারের লংমার্চ ঠেকাতে ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ২৭ প্রগতিশীল সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। হরতালের সমর্থনে ও ৬ দফা দাবিতে শুরু হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচিও। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার এ হরতালের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও প্রগতিশীল পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদসহ ২৭টি সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল সংগঠন। অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চের ২২ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধ চলবে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত। অবরোধ শেষে শনিবার বিকেল চারটায় গণজাগরণ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে মহাসমাবেশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্রীড়া কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হরতাল আহ্বান করে এ হরতালের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ প্রতিহতের ঘোষণা দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও প্রগতিশীল পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদসহ ২৭ সংগঠনের নেতারা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। ২৭ সংগঠনের হরতালেও সমর্থন জানান তিনি। গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে সব পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব বাস মালিক-শ্রমিক, সব রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, লঞ্চের মালিক-শ্রমিকদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিকে সফল করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির, সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার জন্যে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা, নারী, পেশাজীবী, সংস্কৃতি কর্মী, সামাজিক শক্তি ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী সমন্বয়ে ‘প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়েছে প্রগতিশীল সংগঠনগুলো। হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী মিশে, হত্যাকাণ্ডসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে এবং এ ধরনের লংমার্চ দেশে নৈরাজ্য ও হানাহানি উস্কে দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তা প্রতিহত করবেন বলে জানিয়েছেন ২৭ প্রগতিশীল সংগঠন ও গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা।