বিরোধী দল ছাড়াই সংসদের ১৭ তম অধিবেশন শুরু ॥ চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
সংসদ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই শুরু হয়েছে চলতি নবম জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন। গতকাল ৯ম জাতীয় সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির ২১তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অধিবেশন চলবে। বৈঠকের শুরুতে মরহুম রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে ০১ (এক) মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ পরিচালনার জন্য সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নির্বাচন করা হয়। তারা হলেন, খান টিপু সুলতান, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, শাহীন মনোয়ারা হক, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। গতকাল রোববার বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে ভারপ্রাপ্ত স্পীকার শওকত আলী সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত স্পীকার শওকত আলী বলেন, গণতন্ত্র অর্থই হচ্ছে জনগণের শাসন, জনকল্যাণমূলক শাসন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। আর জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটেই গঠিত এই জাতীয় সংসদ। সংসদীয় কার্যক্রমে বিরোধী দলের অংশগ্রহন নীতিগতভাবেই কাম্য। সরকারি ও বিরোধী দল উভয়েরই এটি স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে জনগণ। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলের মতৈক্যে আসা একান্ত অপরিহার্য। সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করতে অবশ্যই প্রধান বিরোধী দল সংসদে যোগদান করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। স্পিকার এসময় সংসদীয় কার্যক্রমে বিরোধী দলকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ভারপ্রাপ্ত স্পীকার শওকত আলী আরো বলেন, সংবিধান ও কার্যপ্রণালী-বিধি অনুযায়ী জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে এ সংসদে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য সংসদে এসে কথা বলার কোন বিকল্প নেই। এটাই গণতান্ত্রিক রীতি। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় মত-পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে মত পার্থক্য দুর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারলে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্তই হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা। আসুন সকলে মিলে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করি এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করি।
উল্লেখ্য, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের টানা ৪টি অধিবেশনে অনুপস্থিত। সর্বশেষ গত বছরের প্রথম অধিবেশনের শেষ সময়ে ১৮ মার্চ যোগ দেন তারা। এ পর্যন্ত সংসদে টানা অনুপস্থিতি ৭৬ কার্য দিবস। ফলে চলতি অধিবেশনে না আসলেও আগামী অধিবেশন তাদের যোগ দিতে হবে। কারণ টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিলের বিধান রয়েছে।