সাতটি পাখিকে উড়তে দিন
জ. ই. মামুনঃ
আন্না, সানিয়া, রিক্তা, লাবনী, লাভলী, শাহিনুর আর পাখি- কী অদ্ভুত সুন্দর নামগুলো! এদের সবার বয়স ১৬ থেকে ৩০ এর ভেতরে। আমাদের কারো মেয়ের সমান, কারো বোনের সমান বয়সী। এরা সাত জন রানা প্লাজার বেঁচে যাওয়া মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে হতভাগ্য। এদের কারো হাত, কারো পা, কারোবা দুটোই কেটে ফেলতে হয়েছে জীবন বাঁচানোর জন্য। সাতজনই এখন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তারা সবাই এখন আশংকামুক্ত। কিন্তু অন্তত ৬ মাসের দীর্ঘ চিকিতসার আওতায় থাকতে হবে এদের।
প্রার্থনা করি, এরা সুস্থ হয়ে উঠুক দ্রুত। কিন্তু তারপর? যে পুর্ণাঙ্গ দেহ নিয়ে তারা কাজে গিয়েছিল সেদিন, সেখান থেকে তারা খন্ডিত দেহ নিয়ে ফিরে গিয়ে কোথায় দাঁড়াবে? কঠিন নিষ্ঠুর বাস্তবতায়, এখন থেকে এক মাস পরেই এদের কথা আমাদের ক’জনের মনে থাকবে? তাই এখনই, মনে থাকতে থাকতেই এদের জন্য কিছু করা দরকার।
সাতটি পাখি যেন আবার ডানা মেলে উড়তে পারে, আমি সেই চেষ্টা করছি। এই সাতটি মেয়ের জন্য আমি একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি। বন্ধু- সুহৃদদের সহযোগিতা চাই।