সাভার ট্রেজেডিঃ জীবিতদের উদ্ধারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নামানো হচ্ছে
রিয়াদ হাসান,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নামানো হচ্ছে। হাইড্রোলিক ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপের উপর থেকে ভেতরে প্রবেশ করবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ২৮ এপ্রিল (রোববার) সকালে মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘হাইড্রোলিক ক্রেন দিয়ে ভবনের উপর থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবেন উদ্ধারকর্মীরা। ভেতরে কোনো প্রাণের স্পন্দন পাওয়া গেলে আহতকে বক্সের মাধ্যমে উপরে ওঠানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধারকাজের প্রথম থেকে আমরা তিন স্তরে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি। প্রথম স্তরে জীবিতদের উদ্ধরে ম্যানুয়াল প্রচেষ্টা পরিচালনা। দ্বিতীয়ত ধ্বংসাবশেষ উঠানো। আর কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তি আছেন কি-না তাদের উদ্ধার করা। তৃতীয়ত ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা।’ এখন পর্যন্ত উদ্ধারকাজ প্রথম পর্যায়ে আছে জানিয়ে জেনারেল সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘এ পর্যায়ে ম্যানুয়ালি কাজ চালানো কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এখন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। কেননা যেসব স্থানে প্রাণের স্পন্দন আছে সেসব স্থানে ম্যানুয়ালি পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেখানে আহতদের এবং উদ্ধারকর্মীদের প্রাণের ঝুঁকি আছে।’ জীবিতদের উদ্ধারে ক্রেন, ড্রোজার, লোডার প্রভৃতি রিকভারি ইক্যুয়েপমেন্ট ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘এ কাজে সেনাবাহিনীর স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, ফায়ার সার্ভিসের দক্ষ দল, রেডক্রিসেন্টের দক্ষ উদ্ধারকর্মীরা কাজ করবেন।’ বুয়েটের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের পরামর্শ অনুযায়ী উদ্ধারকাজ চালানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জীবিতদের উদ্ধারে ইক্যুয়েপমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এতে ভুল বোঝার কোনো কিছু নেই। বুয়েটের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার এসে আমাদের উদ্ধারকাজ দেখেছেন। এবং তারা পরামর্শ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে বেক্সিমকো, ওরিয়ন গ্রুপ, আনন্দ শিপইয়ার্ড, আব্দুল মোনেম, সিটি কর্পোরেশন, ইনসেপ্টা, চিটাগং শিপইয়ার্ড, বাংলাদেশ অক্সিজেন লিমিটেড। এছাড়া বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় প্রশাসন ও অগণিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে।’ উদ্ধার যন্ত্রপাতি ও খাবার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে উদ্ধার যন্ত্রপাতি ও খাবার যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে সাভারে রানা প্লাজা নামে বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এঘটনায় এপর্যন্ত ৩৬২ জন মৃত ও ২ হাজার ৪৩৬ জনকে আহত উদ্ধার করা হয়েছে।