হেফাজতের তাণ্ডবঃ ট্রাফিক অফিসে আগুন,সংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক গুরুতর আহত
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রাজধানীর বিজয়নগরস্থ ট্রাফিক পূর্ব অফিসে (ডিসি অফিস) হেফাজত ইসলামের কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন পিয়ারুল ইসলাম(৩২) নামের একজন ট্রাফিক কনস্টেবল(নম্বর ৪২৮৬)। এসময় তিনি অফিসে কর্তব্যরত ছিলেন। আহত এ পুলিশ সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার শিকার ওই ট্রাফিক পুলিশ জানান, ৫ মে (রোববার) বিকেল পৌনে চারটার দিকে ওই অফিসের দোতলার দরজা আটকে আগুন ধরিয়ে দেয় হেফাজত কর্মীরা। তখন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত ডাক্তার লেলিন জানান, ওই ট্রাফিক পুলিশের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রচণ্ড ধোঁয়ায় তার শ্বাসনালীও পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে, হেফাজত ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুপুরে হেফাজতকর্মীরা পল্টন ও দৈনিক বাংলা মোড়ের ফুটপাতের দোকানগুলোতেও আগুন দেয়। এ সময় বায়তুল মোকাররমের সামনে একটি বাসে আগুন দেয় তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এর আগে পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, প্রেসক্লাব, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম, গাবতলী প্রভৃতি স্থানে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার হামলার চেষ্টা চালায় হেফাজতের লোকজন। তারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কয়েকটি বাস ভাঙচুর করলে আওয়ামী লীগে কর্মীরা এতে বাধা দেয়। এসময় হেফাজত ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোলাপ শাহ মাজারেও ভাঙচুর চালায় হেফাজত।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান নেয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।