ফেসবুকে কেন বাজে শব্দ প্রয়োগ? (সুমন্ত আসলাম)
সুমন্ত আসলামঃ
ক্লাস নাইনে পণ্ডিত নগেন মুন্সী স্যার একদিন বলেছিলেন, ‘যে কথা তুমি তোমার পিতা-মাতা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, ভাগ্নে-ভাগনি, ভাস্তে-ভাস্তি, সূশীল কারো সামনে বলতে পারো না, তা তুমি অন্য কারো সামনেও বলতে পারো না। বাজে কথা বলা মানে, তুমি যে নিজেই বাজে, তা অন্যের সামনে প্রকাশ করা, পক্ষান্তরে নিজেকেই গালি দেওয়া।’
ইদানীং ফেসুবকের স্ট্যাটাসে অনেকেই কোনো না কোনো বাজে শব্দ লিখছেন, সেই স্ট্যাটাসের কমেন্টেসও অধিকাংশজন বাজে শব্দ প্রয়োগ করছেন। এটা স্টাইলে দাঁড়িয়ে গেছে এখন। ব্যাপারটা মোটেই শোভনীয় নয়। প্রতিদিন রাজনীতিবিদদের বাজে কথা শুনতে শুনতে এমনিতেই লজ্জায় কুঁকড়ে থাকতে হয় যে আমাদের!
আট বছর আগের এক বাউণ্ডুলে থেকে:
পানি সমস্যা সমাধানের দাবিতে রেজিস্টার বিল্ডিং অবরুদ্ধ করেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলের ছাত্রীরা। এই সময় সাবেক প্রক্টর, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক একেএম গোলাম হোসেন রুম থেকে বের হতে গেলে ছাত্রীদের বাধার মুখে পড়েন। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে ছাত্রীদের ‘খা… বাচ্চা’ বলে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। (সূত্র–আজকের কাগজ, ১৭ অক্টোবর, ২০০৩।)
:স্যার, বলেন তো আপনার কয়টা হাত?’
— কেন, দুটো।
: চোখ, কান, পা?’
–তাও দু’টো।
: মাথা, নাক?
–ওগুলো একটা করে।
আমরা একটু থেমে তাকে বলব, ‘আপনার যতগুলো ছাত্রী আছে; তাদের হাত, পা, মাথা, চোখ, কান কয়টা?’
‘কেন, আমার সমানই।’
‘এবার আপনি বলেন–ওরা … বাচ্চা হলে আপনি কী?’
সুমন্ত আসলামঃ সহকারী সম্পাদক,দৈনিক সমকাল।।