সাভার ট্রাজেডিঃ উদ্ধার হচ্ছে গলিত লাশ,এখন পর্যন্ত লাশের সংখ্যা ৬৬১
ফারুক আহমেদ,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজা থেকে ৬ মে (সোমবার) সকাল ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৬৬১ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এর মধ্যে ৫২৩ টি লাশ শনাক্তের পর তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশিরভাগ লাশ। মাত্র ৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়ে আহত একজন সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন। এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে রানা প্লাজার ৬ষ্ঠ তলার নিউ ওয়েভ টেক্সটাইলের পেছনের অংশ থেকে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন সুইং অপারটের জাকিয়া (কার্ড নম্বর ৫৩৪৪) এবং জয়না (কার্ড নম্বর ১৩৩৮)। এই নিয়ে রোববার মোট ৫৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা লাশগুলো অধরচন্দ্র স্কুল মাঠে রাখা হয়। সেখানে এখনও অনেক স্বজন প্রিয়জনের লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত। ফলে লাশ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে। ভবন ধসে পড়ার দিন ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। এই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও পোশাকের দোকান ছিল। ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে ওপর পর্যন্ত কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা ছিল। এগুলো হলো-নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, নিউ ওয়েভ স্টাইল, নিউ ওয়েভ অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেড।