এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত: পাসের হার ৮৯.০৩ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দেশের আটটি শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে মোট পাসের হার ৮৯.০৩ শতাংশ। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ বেড়েছে ৯ হাজার। গত বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে এবং জিপিএ-৫ পায় ৮২ হাজার ২১২ জন। ৯ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আটটি সাধারণ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের ফল হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে সর্বোচ্চ ৯৪.০৩ ও ঢাকা বোর্ডে সর্বনিম্ন ৮৭.৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এর বাইরে সিলেট বোর্ডে ৮৮.৯৬, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৮.৪৮, কুমিল্লা বোর্ডে ৯০.৪১, বরিশাল বোর্ডে ৮৮.৬৩, যশোর বোর্ডে ৯২.৬২ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৯০.৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.৩১ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এ হার ৮১.১৩। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ শিক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে চট্টগ্রামে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, দ্বিতীয় হয়েছে খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় হয়েছে ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজ। এছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৮৫ শিক্ষার্থী। ফলাফল হাতে পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনাজপুর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নুরজাহান আলিয়া মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। দুপুর ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন।
দুপুর ২টা থেকে সারা দেশের ১৩ লাখ ৩ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষার্থী নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। ফলাফল জানতে ভিজিট করুন ওয়েবসাইট: www.educationboardresults.gov.bd। মোবাইলে ফল জানতে হলে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এসএসসি স্পেস সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস পরীক্ষার সন লিখে ১৬২২২ নাম্বারে লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে। ফিরতি মেসেজে ফলাফল জানা যাবে। (eg: SSC Dha 123456 2013 and send the sms to 16222)
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২ হাজার ৭৫৮টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এতে অংশ নেয় ১৩ লাখ ৩ হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী।