রাজধানীতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান ।। অবৈধ স্থাপনা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নকশা বহির্ভুত ত্রুটিপূর্ণ প্রায় ১০ হাজার অবৈধ স্থাপনার তালিকা হাতে নিয়ে রাজধানীতে যৌথ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। প্রায় তিন মাস পূর্বে নেয়া এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মে (মঙ্গলবার) রাজধানীর গোড়ানের কয়েকটি ভবনের অনুমোদিত নকশার বাইরে বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকাও জরিমানা আদায় করেছে রাজউক ও দুদকের যৌথ টিম। প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ হাজার ভবনের তালিকা হাতে নিয়ে যৌথ অভিযানে মাঠে নামলেও পরবর্তীতে এর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে জানা গেছে। এখন থেকে নিয়মিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে দুদক ও রাজউক সূত্র জানিয়েছে। অভিযান শুরুর আগে যেসব অবৈধ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এর মধ্যে গুলশান এভিনিউয়ে জব্বার টাওয়ার ৬ তলার অনুমতি নিয়ে ২২ তলা (ইউনিয়ন প্রোপার্টিজ লি.) এবং ইকবাল টাওয়ার ৬ তলার অনুমতি নিয়ে ২০ তলা (মালিক এম এন এইচ বুলু) নির্মিত ভবনও রয়েছে। এছাড়া গুলশান এভিনিউ এলাকায় নোমান চৌধুরী ও মনিরুজ্জামান মিলুর মালিকানাধীন দু’টি ভবন, একই এলাকার শফিউর রহমানের ৬ তলা ভবন, গাজী নুরুল ইসলাম গংয়ের ৮ তলা ভবন, এশিউর প্রোপার্টিজের ৯ তলা ভবন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের ৬ তলা ভবন, মো. মনিরুজ্জামানের ৯ তলা ভবন, আজিজুল হক ও নাজনীন হকের দু’টি ভবন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়েই প্রায় ১০ হাজার ভবনের তালিকা দুদক টিমের হাতে এসছে। যে হারে অবৈধ ভবন সনাক্ত করা যাচ্ছে, এতে অনুসন্ধান শেষে এ সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে এ অভিযান ধীর গতিতে চলছে বলে রাজউক এবং দুদক সূত্র জানিয়েছে। দুদক টিম যৌথ অভিযানে সহায়তার পাশাপাশি উচ্ছেদ সংক্রান্ত কাজে রাজউকের কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হচ্ছে কি না, তা তদারকিও করছে। এছাড়া অবৈধ ভবন মালিকদের সম্পদের ব্যাপারেও দুদক টিম কাজ করছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) শেখ আব্দুল মান্নান জানান, দুদকের টিম অভিযানের সঙ্গে থাকায় অভিযানের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌথ অভিযানে রাজউকের কর্মকর্তাদের কাজে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির ব্যাপারেও সবার স্বচ্ছ ধারণা থাকবে।