সুমন্ত আসলামঃ ভারতের জি বাংলার মিরাক্কেল অনুষ্ঠানটা আমি, আমার স্ত্রী আর আমার সাড়ে চার বছরের মেয়েটা মাঝে মাঝে দেখি। অশ্লীল কৌতুক, উপস্থাপক মীর-এর অতি ভাড়ামি থাকলেও বেশ কিছু ভালো কৌতুকের জন্য অনুষ্ঠানটা ভালোই লাগে। ওখানে বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির একটা প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখায়, তাতে বলা হয়–‘চাপার জোর বাড়াও, অ্যাটম খাও।’ তাই শুনে আমার মেয়ে একদিন বলল, ‘বাবান, চাপা কি?’ এক মুহূর্ত ভেবে আমি বললাম, ‘ইদানীং স্বরাষ্টমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রী মুখ দিয়ে যা বের করেন, তাই চাপা।’ আমার মেয়ে কী বুঝল জানি না, আরো মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল বিজ্ঞাপনটা।
আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বউকে বললাম, ‘শরীরে ক্যানসার বাধাও, প্রাণের আচার খাও।’ তাই শুনে বউ চোখ বড় বড় করে তাকাতেই আজকের ‘সমকাল’ পত্রিকার শেষ পৃষ্টা মেলে ধরলাম তার সামনে। সেখানে লেখা আছে–প্রাণ আচারের জন্য সংগৃহীত ৯০ টন আমে মাত্রারিক্ত ফরমালিন। লেখাটা পড়ে বিরস বদনে আমার স্ত্রী ফ্রিজ, কাঠের সেলফ এবং রান্না ঘর থেকে প্রাণের বিভিন্ন ধরনের ১১টা প্রোডাক্ট নির্দ্বিধায় ফেলে দিল ময়লা ফেলার বক্সে। তারপর তার প্রফুল্ল চেহারা দেখে মনে হলো– প্রাণের প্রোডাক্ট ছুড়ে ফেলো, না হলে প্রাণ থাকবে না ভালো…।
বি.দ্রঃ কয়েক বছর এক ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভেজালবিরোধী আন্দোলনেও প্রাণ এভাবে ধরা খেয়েছিল!!!