বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় ।। গ্রেফতার ৫
চপল সাহা,বগুড়া থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বগুড়ায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়েছে। এসময় এক পুলিশ কন্সষ্টবল আহত এবং হত্যাসহ হাফডজন মামলার আসামী সন্ত্রাসী রাশেদ বাহিনীর প্রধান রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ ৩ রাউন্ডগুলি, বিদেশী পিস্তল,চাকু ও ফেন্সিডিলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ শহিদ আলম জানান, বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন, বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ভিতর ৭/৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির জন্য অপেক্ষা করছে। বিষয়টি বগুড়া পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএমকে অবহিত করে তার সার্বিক নির্দেশনায় ওসি সৈয়দ শহিদ আলম, সেকেন্ড অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন, ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই আনোয়ার হোসেন, সদর থানার কন্সস্টবল রমজান আলী, আমজাদ হোসেনসহ পুলিশের একটি অভিযান দল পানি উন্নয়ন বোর্ডে অভিযান পারিচালনা করে। এসময় অফিসের পিছনে থাকা রাশেদ বাহিনী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে তিন রাউন্ড গুলি করে। তখন পুলিশও তাদের উপর সর্টগান দিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশের কন্সষ্টবল ( নং১০৮২) অপু রঞ্জন বীর আহত এবং রাশেদ গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় পুলিশ চারিদিক থেকে তল্লাসী চালিয়ে রাশেদ বাহিনীর প্রধান রাশেদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার এবং তার কাছ থেকে ইটালির তৈরী একটি ৭.৬৫ পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজাগুলি ও তিন বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো, শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়ার মহফিল এর ছেলে সন্ত্রাসী এরশাদ(২৪)একই এলাকার আব্দুল খালেক’র ছেলে আবু রায়হান(২৪),আফছার আলীর ছেলে জনি(২৪)ও মৃত জয়নাল আবেদীন’র ছেলে পাভেল(২৬)কে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ এরশাদ’র কাছ থেকে একটি একটি চাকু উদ্ধার করেছে। কে এই রাশেদ? গাইবান্ধার কঞ্চিপাড়ার কলিম উদ্দিনের ছেলে (বর্তমান) বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়ার কলিম উদ্দিনের ছেলে নিজেকে সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পরিচয়দানকারি । সদর থানার ওসি জানান, রাশেদ পুলিশের একজন তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী। ২০১০ সালের ৫ জুন রাতে বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন জুয়েলকে সন্ত্রাসীরা ফিল্মী স্টাইলে গুলি ও রাম দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রাশেদ। পুলিশ জানায়, রাশেদ বাহিনীর ১০/১২ জন সদস্য রয়েছে। হত্যা ছাড়াও চাঁদাবাজি , দখল, ছিনতাইসহ তার বিরুদ্ধে হাফডজন মামলা রয়েছে। এঘটনায় এসআই হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে।