আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যৌথ অভিযান!
বিশেষ প্রতিবেদক, এসবিডি নিউজ২৪ ডট কম, ঢাকা: রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইজিপি। তিনি যে কোনো মূল্যে ছিনতাই প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারী পুলিশ সদর দফতরে এক জরুরি বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। নগরীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যার্যাব-পুলিশকে যৌথভাবে অভিযান চালানোর নির্দেশও দেন আইজিপি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, নগরীতে দায়িত্ব পালনকারী র্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, র্যাবের ইন্টেলিজেন্ট, র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান, ডিএমপির সব জোনের ডিসি ও পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ছিনতাই প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা, আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এ ছাড়া জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করছে। এমনকি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা চাঁদার টাকাও গ্রহণ করছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজধানীর কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। বৈঠকে নগরীতে র্যাব ও পুলিশের আরও চেকপোস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে ডিসিরা চেকপোস্ট নিয়ে পুলিশের সমস্যার কথা আইজিকে জানান। এর মধ্যে রয়েছে জনবল সংকট, পুলিশের যানবাহন সংকট। আইজিপি এসব সমস্যা সমাধানে তার সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে গত তিন মাসের রাজধানীর অপরাধ পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার জানান, নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। তিনি বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর অধিকাংশ শনাক্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন নিয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা তোলার ব্যাপারে উত্তোলনকারী থানা পুলিশের সহায়তা নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা অনেকে মানেন না। এ ব্যাপারে নগরীর ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য আইজিপি পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে আইজিপি র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের যৌথভাবে কাজ করার কর্মপদ্ধতি ঠিক করারও নির্দেশনা দেন। সূত্র আরও জানায়, রাজধানীতে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।