একুশ আমাদের গৌরব, অহংকার, সম্মান ও গর্বেরঃ প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও তাঁদের স্বজনদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে তিনি তাঁর বক্তব্যে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, একুশ আমাদের চেতনা। এই চেতনা থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জন। একুশ আমাদের গৌরব, অহংকার, সম্মান ও গর্বের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছিল, তারা শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তারা একুশের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু। তাদের ব্যাপারে সবাইকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁদের কাজ রয়ে গেছে। তাঁদের মেধা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবেই এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তিনি জ্ঞানভিত্তিক সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালের একুশে পদক প্রদানের জন্য সরকার ১৫ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে। তাঁরা হলেন—ভাষা আন্দোলনে মমতাজ বেগম (মরণোত্তর); শিল্পকলায় মোবিনুল আজিম (মরণোত্তর), তারেক মাসুদ (মরণোত্তর), ড. ইনামুল হক, মামুনুর রশীদ ও অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী; সাংবাদিকতায় এহতেশাম হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), আশফাক মুনীর চৌধুরী (মিশুক মুনীর) (মরণোত্তর), হাবিবুর রহমান মিলন; শিক্ষায় অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, ড. মনসুরুল আলম খান, ড. এ কে নাজমুল করিম (মরণোত্তর); বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক বরেণ চক্রবর্তী; সমাজসেবায় শ্রীমত্ শুদ্ধানন্দ মহাথের; ভাষা ও সাহিত্যে ড. হুমায়ুন আজাদ (মরণোত্তর)। প্রত্যেককে এককালীন নগদ এক লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়েছে।