সাংবাদিক দম্পতি খুনঃ হত্যার মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা ঠিক হবে নাঃ মনিরুল
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ 24 ডট কমঃ ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় আজ রোববার সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মোটিভ (কারণ ও উদ্দেশ) সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ না করার পক্ষে তাঁরা। আজ দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র ও ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার মোটিভ (কারণ ও উদ্দেশ্য) সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমি এখনই বলতে পারি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা ঠিক হবে না বলে মনে করছি।’
এ হত্যাকাণ্ডে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকের ছোট ভাইয়ের নাম এসেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে ২০টি বেনামি চিঠি ও অসংখ্য এসএমএস এসেছে। এ সবের বিষয়বস্তু নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের মতো ব্যাপার। প্রত্যেক চিঠিতে হত্যাকারী আলাদা, উদ্দেশ্য আলাদা।’ পুলিশের পক্ষ থেকে আগে হত্যার চারটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল—এ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘এ বিষয়ে বলা যাবে না। তবে এতটুকু বলা যাবে, সময় সংক্ষিপ্ত হচ্ছে, আসামিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করা যাবে।’ খুনিদের গ্রেপ্তারে গতকাল রাতে ‘ব্লক রেইড’ অভিযান চালানো হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ৯৫% পুলিশের এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই। এমন কিছু হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতের কোনো এক সময় পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। কিন্তু ওই সময়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ৪৮ ঘণ্টা পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার তদন্তে ‘প্রণিধানযোগ্য’ অগ্রগতির কথা জানিয়েছিলেন।