একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য…
শুনতে পায় ডাক চিতকের, আর্তনাদ ফিস ফিস। আত্মা ছাড়া সব অবশ।সারা দেয়া জায় না।কিছু বলা জায় না। বুকের ভিতরে নিয়ে গেল একটা অতৃপ্ত সাধ। এই স্বাধীন দেশে এক্তা স্বাভাবিক মৃত্যু। সেই চিরাকাংখাতিত অধিকারের মিছিলে কেউ একা না আমরা সবাই হতে পারি হয়ত…।।
ঘন নিঃশ্বাস জমে আত্মার আহুতি বেরেই চলেছে গণতন্ত্রের তলানি প্রাপ্ত স্বাধীন বাঙ্গালীর জিবনে। আমরা কি একটি স্বাভাবিক মৃত্যুও কামনা করতে পারি না?
সূর্যের স্বাধীন আলোতে যখন নিকষ কালো অপমৃত্যুর হাতে নিজেদের স্বজন দেখি তখন কি নিজেদের অক্ষম পরাধীন মনে হয় না? মনে কি হয় না শত্রু কিংবা বর্বর জাতি হলে এই দুঃখ বোধ থাকত না ? কতো অপমৃত্যুর কথা বলবো,মিশুক মনির, তারেক মাসুদ, জুবায়েদ, ফেলানি,আর কত কত নাম বলব…… কত তো ভুলেও গেছি। হাজার হাজার নাম যারা অপমৃত্যুতে লাশ হয়ে গাছে। জানুয়ারি ৭ তারিকে প্রীতি স্কুল শিক্ষিকা আত্ত হত্তা করল দারিদ্রতার ছাপে।তার বাবা সড়ক দুরঘতনায় মারা জায়, সংসারের পুরা দায়িত্ব ২১ বছরের প্রীতির উপরে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দারিদ্র পীড়িত বাংলাদেশে প্রাকিতিক দুরজগ,রাজনইতিক অস্থিরতা। জন বহুল দেশ হিসাবে বাংলাদেশের স্থান সপ্তম। কিন্তু আয়তনে ৯৩ তম ফলে ঘনবসতি দেশ গুলির মধ্যে এইটি অন্যতম। অপমৃত্যুর প্রায় সব ধরন আমরা দেকতে পাই স্বাধীন বাংলাদেশে। আই নিয়ে লিখা লিখির কোন কমতি নাই। মানব বন্ধন,মিছিল,সব হয়ে যায় বদলায় না শুধু এর সাথে সম্পর্কিত মানুষ গুলোর বিবেক। প্রতিদিনের জীবনে লাশ, অপমৃত্যু একটা দেইনন্দিন ঘটনা। মাঝ খানে পত্রিকা পরা বন্ধ করেছিলাম। চোখ খুলে লাশ ভাল লাগে না। মৃত্যু স্বাভাবিক, চির সত্য। কিন্তু অপমৃত্যু? আমাদের উন্নয়নশীল দেশ টায় এগোচ্ছে সব কিছু কছপ গতিতে। কেউ কেউ নিজের আঁখের গোছাচ্ছে ধুমকেতুর গতিতে সেটা আলাদা কথা। আই দেশের মানুষের করের টাকায় রাস্তা মেরামত কিংবা উন্নয়ন কাজ না হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট দের ব্যাংকের অংক বেরে ছলেছে।একটু খানি সদ ইচ্ছা হয়ত কমিয়ে দিতে পারে অপমৃত্যুর হার। কঠোর হাতে এই ক্ষেত্র টাকে পরিচালনা করা তামন কোন অসম্ভাব বাপার না। আমাদের বিশাস সরকার ও আমরা সকলেই চাইলে পারি এই অস্বাভাবিক মৃত্যু থেকে নিজেদের এড়িয়ে চলতে পারি।
পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হানির সংখ্যা বেশি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে প্রান হারাচ্ছে ১২ জন। আহত হচ্ছে ১৭ জন।সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী এর সংখ্যা ৪ হাযার,বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী ১২ হাজার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসার ড। মাযহারুল হক দেয়া হিসাব অনুজায়ি। ড। হকের হিসাব অনুযায়ী পুলিশের রিপোর্টের সাথে বাস্তবের পার্থক্য ৪০% থেকে ১০০%। অর্থনীতিতে এর ক্ষতির পরিমান দেশের মোট জিডিপির ২ শতাংশ। চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ফলে ৯৩/৯৫ এই সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে আসেছিল। তার অরথ হোল যে যতই ঢোল বাজান সড়ক দুর্ঘটনা কমানো অসম্ভাব কিছু না। কি করলে কি হয় ,কি করা যায়। হিসাব নিকাশের কোন কমতি নেই।নতুন করে সেই সব হিসাব লিখে সময় ক্ষেপণ মনে হয় না কোন কাজে লাগবে। মদ্দা কথা দেশ টায় যেন মৃত্যুটা স্বাভাবিক হয়। সকলের প্রতি দেশবাশির পক্ষ থেকে এই প্রতাশা।
শুধু “আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে” কিংবা “গরু ছাগল চিনলেই হবে” এই ধরনের মানসিকতার মানুষ গুলোর হাতে দেশ তটা ছেরে দেয়া যায় কিনা সেটা প্রশ্ন থেকেই যায়। লাশের মিছিলে দুই পাটি দাঁতের প্রদর্শন বড়ই লজ্জার ও ক্রধের।
ঘর থেকে যখন আমাদের আপনজন বের হয় কোন নিশ্চয়তা নাই সুস্ত ঘরে ফিরবে।
যদি কোন অপঘাত কিনবা লাশ না হয়ে ফেরে তো বলতে হবে চরম ভাগ্য ও আল্লাহর অসীম কৃপা।
কোথায় আছি আমরা? কিসের ভিতরে আছি আমরা? এই ক্ষুদ্র আশা টুকু তো করতেই পারি একটা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই।
সরক দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা ৩ জায়গা থেকে ৩ ধরনের তথ্য পাই। সরকার,বিআরটিআ, এনজিও। সরকার, বিআর টিএ, এনজিও এদের কারো কাছেই সঠিক হিসাব নাই। আই তিন হিসাব দেয়াই বাহুল্য মাত্র।
রাস্তাঘাত,স্কুল কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, ঘর, এমন কি হাসপাতাল সব যেন মৃত্যু ফাঁদ।
হাসপাতাল গুলোর অবহেলায় চির জিবনের পঙ্গুত্ব বয়ে বেরাতে হয় হাজার মানুশের। দ্রুত জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারলে অপগাতের স্বীকার অনেক কেই বাঁচানও সম্ভাব।সরকারি হিসাব অনুযায়ী স মিলিয়ে বছরে যত মৃত্যু হয় তা প্রায় ৯.৩ কারন হচ্ছে অপঘাত।বেসরকারি এই সংখ্যা আর বেশি বলে দাবি করে থাকেন। বাংলাদেশ সোসাইটি ইমাজেন্স্য মেডিসিন বিএইসএইম সভাপতি ডঃ অধ্যাপক আইচ কবির চৌধুর্য বলেন, কোন অপ ঘাতের পর যত দ্রুত সম্ভাব আহতকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিলে অনেক ক্ষেত্রেই তার জীবন রক্ষা সম্ভাব। যেই সরকারি থাকুন দেশ পরিচালনায়। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরধ “একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই”
নুন থেকে চুনের মূল্যর চেয়ে জীবন এখানে সস্তা। রাজনীতি বাদেই কথা বলছি, রাজনীতিতে লাশ কখন কখন অনিবার্য। সে লাশ হোক না বর বেশি পারজ্ঞ কর্মীর। একটা লাশ সেখানে উত্তরনের সিঁড়ি। এখানে ত মা তার ছোট্ট শিশু টিকেও নিরাপদে বিদ্যালয়ে নিজ হাতে ছাড়তে গিয়েও অপারজ্ঞ হয়ে যায় তার দৃষ্টির সামনে তার কলিজার টুকরা টা পিষ্ট হয় বাসের চাকার নীচে। অথচ এই শিশুরাই একদিন এই দেশের ভবিশত। একসাথে যখন অনেক ফুল অকারনে অবহেলার জন্য ঝরে জায়, তখন তার বিনিময়ে কিছু অর্থ দিয়ে বুকের ভিতরের শূন্যতা পুরনের নির্লজ্জ চেষ্টা হয়। কোথায় কোন পরবনে আনান্দ করতে গিয়ে বন্ধুতকে দিতে হয় তার চরম খেসারত। লাশ হয়ে যেতে হয় । আহত পিতা মাতার অনুভুতি কে সমাজে সন্তানের ডাকাত হবার অপবাদ বয়ে বেরাতে হয় একি সাথে সন্তান হারানর বেদনার সাথে। কোথায় নিরাপদ স্থান? হাসপাতালে কি চলছে না অরাজগতা? মৃত্যুর হাতছানি কোথায় নাই? প্যাঁ প্যাঁ প্যাঁ করে ছুটে চলা আম্বুলান্সের আর্তনাদ কয় জনের কানে যায়? আর যাদের কানে যায় তারা কি বা করবে……মাসিভ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যখন আমরা আমাদের প্রান প্রিয় স্বজন কে নিয়ে যাই , মনে হয় যেন আই দেশে ভোট দিয়ে আর কোন সরকার আনব না। অপারগতা কিসের? একজন যিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি কি ভেবেছিলেন যান জটের কারনে তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া আম্বুলেন্স এগোতে পারবে না? হয়তো না। কিন্তু বাস্তব হোল সেই আম্বুলেন্স যাত্রী সুস্ত হবার পর আবার আশায় বুক বাঁধেন ভোট দেন। সরকার গঠন হয়। হয়তো ভবিষ্যৎ তা ভাল হবে। কবে আসবে সেই দিন?যেদিন কন লাশ ঝুলবে না পোস্টারে, রক্ত মাখা মানুষের পোস্টের দেয়াল এ সাপটানো হবে না। রাস্তের পারে,নদির ঘাটে আহাজারির ভার এ বাতাস লজ্জা পাবে না।
যেদিন প্রতিভা বান থেকে সাধারণ মানুষ গুলোকে অকারনে প্রান দিতে হবে না। খাবারে বিষ। রাজনীতি তে বিষ, জীবন টা তো নীলকণ্ঠ নয়। একটা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই। বন্ধ হক খুন। বাবা মা বড় সাধ করে শিক্ষিত হতে বিদ্যাপীঠে পাঠায় ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সন্তান বর হবে। সন্তানের লাশ আচমকা টিভি তে খবরে দেখবে,সেটা কত টা নড়িয়ে দেয় জীবন কে, সে শুধু ওই অভাগা পরিবারটাই জানে। এই দেশ কাম্য নয়। নাত কাম্য অস্বাভাবিক মৃত্যু। অনেকেই আত্মহত্যা করে সেটাও ধার্মিক ও সামাজিক জিবনে গ্রহন যোগ্য নয়। আই অপমৃত্যুর বিরুদ্ধে যদি আখন রুখে না দাড়াই তবে সেটা আত্মহত্যার সামিল হবে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ কোন অপমৃত্যুর শিকার হবে না সেটা নিশ্চিত করা টা আমাদেরই পবিত্র দায়িত্ব।
প্রাকিতক দুর্যোগে মারা যাচ্ছে হাযার হাযার,অভুক্ত মারা জাচ্ছে হাযার হাযার, তার উপর উদাসিনতা,অবহেলা, অসাধু তা, ছুরি। বাটপারি, অক্ষমতা, যদি মৃত্যুর কারন হয় তা হলে দেশের হর্তা কর্তা বিধাতা দের কাছে বিনীত অনুরধ ভোট দিবো। সরকার ও বানাবো। কিন্তু দয়া করে আমাদের প্রয়োজন আমাদের ঘরে পৌঁছে দিবেন। কেন না যেখানে নিশ্চিত নয় একটি স্বাভাবিক মৃত্যু সেখানে ঘরের বইরে যাব কার ভরশা তে? জীবন তো সুখের না, সাড়া দিন এইখানে চলছে লড়াই বেঁচে থাকার। একটু ভাল থাকার যুদ্ধ করতে করতেই জীবন যেখানে হতভম্ভ সেখানে অপমৃত্যু একটা বাড়তি বুকের পাজরের কান্সারের মতো যন্ত্রণা।
ঘন নিঃশ্বাস জমে আত্মার আহুতি বেরেই চলেছে গণতন্ত্রের তলানি প্রাপ্ত স্বাধীন বাঙ্গালীর জিবনে। আমরা কি একটি স্বাভাবিক মৃত্যুও কামনা করতে পারি না?
সূর্যের স্বাধীন আলোতে যখন নিকষ কালো অপমৃত্যুর হাতে নিজেদের স্বজন দেখি তখন কি নিজেদের অক্ষম পরাধীন মনে হয় না? মনে কি হয় না শত্রু কিংবা বর্বর জাতি হলে এই দুঃখ বোধ থাকত না ? কতো অপমৃত্যুর কথা বলবো,মিশুক মনির, তারেক মাসুদ, জুবায়েদ, ফেলানি,আর কত কত নাম বলব…… কত তো ভুলেও গেছি। হাজার হাজার নাম যারা অপমৃত্যুতে লাশ হয়ে গাছে। জানুয়ারি ৭ তারিকে প্রীতি স্কুল শিক্ষিকা আত্ত হত্তা করল দারিদ্রতার ছাপে।তার বাবা সড়ক দুরঘতনায় মারা জায়, সংসারের পুরা দায়িত্ব ২১ বছরের প্রীতির উপরে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দারিদ্র পীড়িত বাংলাদেশে প্রাকিতিক দুরজগ,রাজনইতিক অস্থিরতা। জন বহুল দেশ হিসাবে বাংলাদেশের স্থান সপ্তম। কিন্তু আয়তনে ৯৩ তম ফলে ঘনবসতি দেশ গুলির মধ্যে এইটি অন্যতম। অপমৃত্যুর প্রায় সব ধরন আমরা দেকতে পাই স্বাধীন বাংলাদেশে। আই নিয়ে লিখা লিখির কোন কমতি নাই। মানব বন্ধন,মিছিল,সব হয়ে যায় বদলায় না শুধু এর সাথে সম্পর্কিত মানুষ গুলোর বিবেক। প্রতিদিনের জীবনে লাশ, অপমৃত্যু একটা দেইনন্দিন ঘটনা। মাঝ খানে পত্রিকা পরা বন্ধ করেছিলাম। চোখ খুলে লাশ ভাল লাগে না। মৃত্যু স্বাভাবিক, চির সত্য। কিন্তু অপমৃত্যু? আমাদের উন্নয়নশীল দেশ টায় এগোচ্ছে সব কিছু কছপ গতিতে। কেউ কেউ নিজের আঁখের গোছাচ্ছে ধুমকেতুর গতিতে সেটা আলাদা কথা। আই দেশের মানুষের করের টাকায় রাস্তা মেরামত কিংবা উন্নয়ন কাজ না হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট দের ব্যাংকের অংক বেরে ছলেছে।একটু খানি সদ ইচ্ছা হয়ত কমিয়ে দিতে পারে অপমৃত্যুর হার। কঠোর হাতে এই ক্ষেত্র টাকে পরিচালনা করা তামন কোন অসম্ভাব বাপার না। আমাদের বিশাস সরকার ও আমরা সকলেই চাইলে পারি এই অস্বাভাবিক মৃত্যু থেকে নিজেদের এড়িয়ে চলতে পারি।
পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হানির সংখ্যা বেশি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে প্রান হারাচ্ছে ১২ জন। আহত হচ্ছে ১৭ জন।সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী এর সংখ্যা ৪ হাযার,বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী ১২ হাজার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসার ড। মাযহারুল হক দেয়া হিসাব অনুজায়ি। ড। হকের হিসাব অনুযায়ী পুলিশের রিপোর্টের সাথে বাস্তবের পার্থক্য ৪০% থেকে ১০০%। অর্থনীতিতে এর ক্ষতির পরিমান দেশের মোট জিডিপির ২ শতাংশ। চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ফলে ৯৩/৯৫ এই সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে আসেছিল। তার অরথ হোল যে যতই ঢোল বাজান সড়ক দুর্ঘটনা কমানো অসম্ভাব কিছু না। কি করলে কি হয় ,কি করা যায়। হিসাব নিকাশের কোন কমতি নেই।নতুন করে সেই সব হিসাব লিখে সময় ক্ষেপণ মনে হয় না কোন কাজে লাগবে। মদ্দা কথা দেশ টায় যেন মৃত্যুটা স্বাভাবিক হয়। সকলের প্রতি দেশবাশির পক্ষ থেকে এই প্রতাশা।
শুধু “আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে” কিংবা “গরু ছাগল চিনলেই হবে” এই ধরনের মানসিকতার মানুষ গুলোর হাতে দেশ তটা ছেরে দেয়া যায় কিনা সেটা প্রশ্ন থেকেই যায়। লাশের মিছিলে দুই পাটি দাঁতের প্রদর্শন বড়ই লজ্জার ও ক্রধের।
ঘর থেকে যখন আমাদের আপনজন বের হয় কোন নিশ্চয়তা নাই সুস্ত ঘরে ফিরবে।
যদি কোন অপঘাত কিনবা লাশ না হয়ে ফেরে তো বলতে হবে চরম ভাগ্য ও আল্লাহর অসীম কৃপা।
কোথায় আছি আমরা? কিসের ভিতরে আছি আমরা? এই ক্ষুদ্র আশা টুকু তো করতেই পারি একটা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই।
সরক দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা ৩ জায়গা থেকে ৩ ধরনের তথ্য পাই। সরকার,বিআরটিআ, এনজিও। সরকার, বিআর টিএ, এনজিও এদের কারো কাছেই সঠিক হিসাব নাই। আই তিন হিসাব দেয়াই বাহুল্য মাত্র।
রাস্তাঘাত,স্কুল কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, ঘর, এমন কি হাসপাতাল সব যেন মৃত্যু ফাঁদ।
হাসপাতাল গুলোর অবহেলায় চির জিবনের পঙ্গুত্ব বয়ে বেরাতে হয় হাজার মানুশের। দ্রুত জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারলে অপগাতের স্বীকার অনেক কেই বাঁচানও সম্ভাব।সরকারি হিসাব অনুযায়ী স মিলিয়ে বছরে যত মৃত্যু হয় তা প্রায় ৯.৩ কারন হচ্ছে অপঘাত।বেসরকারি এই সংখ্যা আর বেশি বলে দাবি করে থাকেন। বাংলাদেশ সোসাইটি ইমাজেন্স্য মেডিসিন বিএইসএইম সভাপতি ডঃ অধ্যাপক আইচ কবির চৌধুর্য বলেন, কোন অপ ঘাতের পর যত দ্রুত সম্ভাব আহতকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিলে অনেক ক্ষেত্রেই তার জীবন রক্ষা সম্ভাব। যেই সরকারি থাকুন দেশ পরিচালনায়। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরধ “একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই”
নুন থেকে চুনের মূল্যর চেয়ে জীবন এখানে সস্তা। রাজনীতি বাদেই কথা বলছি, রাজনীতিতে লাশ কখন কখন অনিবার্য। সে লাশ হোক না বর বেশি পারজ্ঞ কর্মীর। একটা লাশ সেখানে উত্তরনের সিঁড়ি। এখানে ত মা তার ছোট্ট শিশু টিকেও নিরাপদে বিদ্যালয়ে নিজ হাতে ছাড়তে গিয়েও অপারজ্ঞ হয়ে যায় তার দৃষ্টির সামনে তার কলিজার টুকরা টা পিষ্ট হয় বাসের চাকার নীচে। অথচ এই শিশুরাই একদিন এই দেশের ভবিশত। একসাথে যখন অনেক ফুল অকারনে অবহেলার জন্য ঝরে জায়, তখন তার বিনিময়ে কিছু অর্থ দিয়ে বুকের ভিতরের শূন্যতা পুরনের নির্লজ্জ চেষ্টা হয়। কোথায় কোন পরবনে আনান্দ করতে গিয়ে বন্ধুতকে দিতে হয় তার চরম খেসারত। লাশ হয়ে যেতে হয় । আহত পিতা মাতার অনুভুতি কে সমাজে সন্তানের ডাকাত হবার অপবাদ বয়ে বেরাতে হয় একি সাথে সন্তান হারানর বেদনার সাথে। কোথায় নিরাপদ স্থান? হাসপাতালে কি চলছে না অরাজগতা? মৃত্যুর হাতছানি কোথায় নাই? প্যাঁ প্যাঁ প্যাঁ করে ছুটে চলা আম্বুলান্সের আর্তনাদ কয় জনের কানে যায়? আর যাদের কানে যায় তারা কি বা করবে……মাসিভ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যখন আমরা আমাদের প্রান প্রিয় স্বজন কে নিয়ে যাই , মনে হয় যেন আই দেশে ভোট দিয়ে আর কোন সরকার আনব না। অপারগতা কিসের? একজন যিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি কি ভেবেছিলেন যান জটের কারনে তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া আম্বুলেন্স এগোতে পারবে না? হয়তো না। কিন্তু বাস্তব হোল সেই আম্বুলেন্স যাত্রী সুস্ত হবার পর আবার আশায় বুক বাঁধেন ভোট দেন। সরকার গঠন হয়। হয়তো ভবিষ্যৎ তা ভাল হবে। কবে আসবে সেই দিন?যেদিন কন লাশ ঝুলবে না পোস্টারে, রক্ত মাখা মানুষের পোস্টের দেয়াল এ সাপটানো হবে না। রাস্তের পারে,নদির ঘাটে আহাজারির ভার এ বাতাস লজ্জা পাবে না।
যেদিন প্রতিভা বান থেকে সাধারণ মানুষ গুলোকে অকারনে প্রান দিতে হবে না। খাবারে বিষ। রাজনীতি তে বিষ, জীবন টা তো নীলকণ্ঠ নয়। একটা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই। বন্ধ হক খুন। বাবা মা বড় সাধ করে শিক্ষিত হতে বিদ্যাপীঠে পাঠায় ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সন্তান বর হবে। সন্তানের লাশ আচমকা টিভি তে খবরে দেখবে,সেটা কত টা নড়িয়ে দেয় জীবন কে, সে শুধু ওই অভাগা পরিবারটাই জানে। এই দেশ কাম্য নয়। নাত কাম্য অস্বাভাবিক মৃত্যু। অনেকেই আত্মহত্যা করে সেটাও ধার্মিক ও সামাজিক জিবনে গ্রহন যোগ্য নয়। আই অপমৃত্যুর বিরুদ্ধে যদি আখন রুখে না দাড়াই তবে সেটা আত্মহত্যার সামিল হবে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ কোন অপমৃত্যুর শিকার হবে না সেটা নিশ্চিত করা টা আমাদেরই পবিত্র দায়িত্ব।
প্রাকিতক দুর্যোগে মারা যাচ্ছে হাযার হাযার,অভুক্ত মারা জাচ্ছে হাযার হাযার, তার উপর উদাসিনতা,অবহেলা, অসাধু তা, ছুরি। বাটপারি, অক্ষমতা, যদি মৃত্যুর কারন হয় তা হলে দেশের হর্তা কর্তা বিধাতা দের কাছে বিনীত অনুরধ ভোট দিবো। সরকার ও বানাবো। কিন্তু দয়া করে আমাদের প্রয়োজন আমাদের ঘরে পৌঁছে দিবেন। কেন না যেখানে নিশ্চিত নয় একটি স্বাভাবিক মৃত্যু সেখানে ঘরের বইরে যাব কার ভরশা তে? জীবন তো সুখের না, সাড়া দিন এইখানে চলছে লড়াই বেঁচে থাকার। একটু ভাল থাকার যুদ্ধ করতে করতেই জীবন যেখানে হতভম্ভ সেখানে অপমৃত্যু একটা বাড়তি বুকের পাজরের কান্সারের মতো যন্ত্রণা।
লেখকঃ কবি ও সাহিত্যিক।।