বর্তমান অর্থবছরে ব্যাংক থেকে নেয়া সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭৪৩ কোটি টাকাঃ অর্থমন্ত্রী
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ডের ১২টি ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। ১ মার্চ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই তথ্য জানান। সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের এক তারকা-চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রীর সংসদে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময় সোনালী ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৩৪৯, জনতা ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৩২৮, অগ্রণী ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৩১৬, উত্তরা ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৪০, সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে দুই হাজার ২৩৭, প্রাইম ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৫৯, এনসিসি ব্যাংক দুই হাজার ২৪৮, ন্যাশনাল ব্যাংক দুই হাজার ৬৫, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুই হাজার ১৪২, মার্কেন্টাইল ব্যাংক দুই হাজার ৫৮, যমুনা ব্যাংক থেকে এক হাজার ৯১১ এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে এক হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেয়। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, এই সময় সরকার ব্যাংক থেকে আগে নেয়া ১৭ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেছে। সেই হিসাবে বর্তমান অর্থবছরে ব্যাংক থেকে নেয়া সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল: পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত মামলা দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সাংসদ জয়নাল আবদিনের এক তারকা-চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা জানান। মন্ত্রী সংসদকে জানান, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের লক্ষ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। মন্ত্রী স্বীকার করেন ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মামলা ১৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। এই মামলার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিচারিক আদালতের বিভিন্ন আদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের উচ্চ আদালতে আবেদন, সাক্ষীর অভাব, তথ্য-প্রমাণাদির অপর্যাপ্ততা ও বিচারিক আদালতে মামলার আধিক্যে থাকায় মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা আছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।