বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে স্যাকুলারিজমের কোন বিকল্প নেইঃ জিমফ্রিজ পেট্রিক

বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে স্যাকুলারিজমের কোন বিকল্প নেইঃ জিমফ্রিজ পেট্রিক

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেক্সঃ সাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশ একটি স্যাকুলার রাষ্ট্র হলেও বাংলাদেশের রিলিজিয়াস মাইনরিটি সম্প্রদায় স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্ম কর্ম পালন করতে পারেনা।  কয়েকটি উগ্রপন্থী ইসলামি সংগঠন ও গোটিকয়েক উগ্রমুসলিমের কারণে রিলিজিয়াস মাইনরিটি সম্প্রদায়কে আতংকে দিন কাটাতে হয়। বাংলাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে স্যাকুলারিজমের কোন বিকল্প নেই। এ মন্তব্য সাবেক বৃটিশ মন্ত্রী ও লেবার দলীয় এমপি জিমফ্রিজ পেট্রিকের। গত ২৯ ফেব্রুয়ারী  বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত আট ঘটিকায় বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে  কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্প্রতি চট্রগ্রামের হাটহাজারীতে কয়েকটি উগ্রপন্থী ইসলামি সংগঠনের  ইন্দনে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা  মাইনরিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের  মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর, ব্যাবসা প্রতিষ্টানে হামলা ও নারী শিশুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে ইংল্যান্ড  ও ইউরোপ ভিত্তিক কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন  এই সমাবেশের আয়োজন করে। মানবাধিকার সংগঠন গুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সনাতন এসোসিয়েশন ইউকে, বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন ইউকে, লোকনাথ ভক্ত পরিষদ ইউকে, গ্লোবাল হিউমেন রাইটস ডিফেন্স, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি ইউকে, স্বাধীনতা ট্রাষ্ট ইউকে, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, জাসদ ইউকে, ইউকে কমিউনিষ্ট পার্টি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান ইউনিটি কাউন্সিল এবং হাউজ অব লর্ডস এর প্রবীণ সদস্য লর্ড এ্যারিক এ্যাবুভেরী, জেরিমী করবিন সহ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপি। সমাবেশে বাংলাদেশের রিলিজিয়াস মাইনরিট সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বৃটিশ লর্ড সভার প্রবীণ সদস্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেতা লর্ড্ এ্যারিক এবুভেরী। লর্ড এ্যাভুভেরী বলেন বাংলাদেশে রিলিজিয়াস মাইনরিটি নির্যাতন একটি চলমান প্রক্রিয়া ১৯৪৭ সালের পর থেকে মাইনরিটি সম্প্রদায় নির্যাতি হয়ে আসছে। লর্ড এ্যাবুভেরী আরো বলেন পার্বত্য চট্রগামের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বাগ্রে বাংলাদেশ সরকারকে ভুমিবিরোধ নিষ্পত্তি সহ আদিবাসীদের ন্যায্য দাবীর প্রতি নজর দেয়া । এছাড়া আরো ব্ক্তব্য রাখেন হলান্ড ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্সের জেনী লান্ডাসটর্ম, সারে রাহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক  ও বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক জন ইড, মানবাধিকার কর্মী ব্যাষ্টিার নূরা শরীফ, মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ, জুমাপিপলস নের্ট ওয়ার্কের লাল আমলাই। নির্মল সরকার সনাতন এসোসিয়েশন, সুরঞ্জিত গুপ্ত লোকনাথ ভক্ত এসোসিয়েশন, তপন শাহা ভয়েস এগেইনষ্ট রেসিয়েল ডিসক্রিমিনেশন,মিহির সরকার জগন্নাথহল এলোমনি,সমীর দাস বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ইউনিটি কাউন্সিল ইউরোপ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা  চট্রগ্রামের হাটহাজারীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভাংচোর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের রিলিজিয়াস মাইনরিটি সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা কামনা করেন সেই সাথে উগ্রপন্থীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী জানান, । সমাবেশ শেষে ১০ নং ডাউনিং ষ্ট্রীটে গিয়ে প্রতিবাদ কারীরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ব্যামরুনের কাছে  একটি পিটিশন দাখিল করেন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।