বিমানের শূন্য পদে নিয়োগের হাইকোর্টের নির্দেশ
হাফিজুর রহমান,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের স্বেচ্ছা-অবসর কর্মসূচি ভিআরএস (ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম) নামে ছাঁটাই হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬০৮টি অনুমোদিত শূন্য পদের বিপরীতে নতুন করে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। ৪ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। নতুন এই নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের (রিট আবেদনকারী) শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক সক্ষমতা, জ্যেষ্ঠতা ও অতীত সার্ভিস রেকর্ড বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। তবে ওই সময়ে যাঁরা স্বেচ্ছায় অবসর কর্মসূচির আওতায় সুবিধা গ্রহণ করেননি, তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ভিআরএস কর্মসূচির আওতায় ২০০৭ সালে ব্যয় হ্রাস ও অতিরিক্ত জনবল কমানোর যুক্তিতে বিমানের এক হাজার ৮৭৭ জনকে ছাঁটাই করা হয়। তবে স্বেচ্ছায় অবসরের নামে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে—এমন দাবি করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ছাঁটাই হওয়া এক হাজার ১৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হাইকোর্টে ৬১টি রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুল জারি করেন। এরপর রিটের ওপর ওই বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় গত ২৩ জানুয়ারি। ৪ মার্চ আদালত রুল নিষ্পত্তি করে ওই রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী নজরুল ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু, সালাহউদ্দিন দোলন, আহসানুল করিম, মাহাবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম প্রমুখ মামলা পরিচালনা করেন। বিমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম, কামাল উল আলম, মেজবাহুর রহমান ও জুনায়েদ চৌধুরী। এ ছাড়া বিমানের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
বিমানের কৌঁসুলি মেজবাহুর রহমান এসবিডি নিউজ24 ডট কমকে বলেন, আদালত বিমানের ভিআরএস কর্মসূচি বৈধ বলে রায় দিয়েছেন। ওই সময় এক হাজার ৮৭৭ জন ভিআরএসের সুবিধা নেন। তাঁদের পুনর্বহাল করতে বলা হয়নি। তবে বিমানের ৬০৮টি অনুমোদিত শূন্য পদের বিপরীতে রিট আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠতা, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অতীত সার্ভিস রেকর্ড ও শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনা করে যথা শিগগির সম্ভব নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়োগ নতুন নিয়োগ বলে বিবেচিত হবে। ৬২৭ জন রিটকারীর আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, ভিআরএস সুবিধা যাঁরা নেননি, আদালত তাঁদের পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ভিআরএসের দিন থেকে চাকরিতে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত মাঝখানের সময়টাকে ছুটি দেখাতে বলা হয়েছে। ছুটিকালীন তাঁরা অর্থ পাবে কি, পাবে না এবং পেলেও কত দিনের জন্য পাবে, তা বিমানের চাকরি বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত হবে। আদালত বলেছেন, ভবিষ্যতে কোনো পদ শূন্য হলে বা নতুন করে পদসংখ্যা বাড়ানো হলে যাঁরা ভিআরএসের আওতায় অবসর গ্রহণ করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ওপরের পাঁচটি দিক বিবেচনা করে তাঁদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।