৯১ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই খালেদা জিয়াকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছিলঃ তোফায়েল
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মার্চ মাস বাঙালির গৌরবের মাস। কিন্তু এই মার্চ মাসেই যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। সরকার পতনের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু কারও কথায় সরকারের পতন হয় না। ‘অগ্নিঝরা মার্চ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৫ মার্চ বিকেলে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে।
বিএনপির উদ্দেশে বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কাজেই বিএনপি ১২ মার্চ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারে। কিন্তু কর্মসূচির নামে কোনো গণ্ডগোল করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মার্চ মাস বাঙালির প্রতিরোধের মাস। স্বাধীনতা-সংগ্রামের মাস। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী আর পাকিস্তানের জন্য এটি পরাজয়ের মাস। এ কারণেই খালেদা জিয়া এই পরাজিতদের নিয়ে মার্চ মাসে সরকার পতনের আন্দোলন করছেন। গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদীকে যখন যুদ্ধাপরাধীদের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন খালেদা জিয়া বলতে শুরু করেন, তারা যুদ্ধাপরাধী নয়।’ তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ৯১ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই খালেদা জিয়াকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছিল। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। কিন্তু বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র দেশের জনতা সফল হতে দেবে না। মার্চ মাসের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করে তোফায়েল বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা তাঁর আশপাশে ছিলাম। আমার মতো তোফায়েল অনেকেই হতে পারবেন কিন্তু এই দেশে বঙ্গবন্ধু আর হবে না।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘মার্চ এলেই আমাদের রক্তে শিহরণ ওঠে। ইতিহাস ভেসে আসে। এই দেশের বিভিন্ন ধারা ছিল। কিন্তু একাত্তরে সব ধারা এক হয়েছিল। আর তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।’ রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধ কেবল অপরাধই নয়, এর সঙ্গে রাজনীতিও জড়িত। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি বাংলাদেশের বিরোধিতা। কাজেই এই শক্তিকে পরাজিত করতেই হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, নিজামী, গোলাম আযমরা যুদ্ধাপরাধী। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক নেতা বানিয়েছেন খালেদা জিয়া। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা এখন খালেদা জিয়ার ওপর ভর করেছে। বাংলার মাটিতে তাদের পরাজিত করতেই হবে। সভায় আরও বক্তব্য দেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আক্তার, সহসভাপতি মীর হোসেন আখতার প্রমুখ।