বিএনপি ক্ষমতায় আসে লুট করতে, মানি লন্ডারিং করতেঃ শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চান? যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে পারবেন না। তাঁদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।’ যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়, তাদের ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ৭ মার্চ (বুধবার) বিকেলে আওয়ামী লীগের গণ-শোভাযাত্রার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন বছরে বেশ কিছু নির্বাচন হয়েছে। আল্লাহর রহমতে একটা নির্বাচনেও কোনো কারচুপি হয় নাই। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ কিছু পায়। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসে লুট করতে, মানি লন্ডারিং করতে।’
বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মার্চ স্বাধীনতার মাস। এই মার্চে রাজাকারদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে নাই। আপনি আইএসআইয়ের পাঁচ কোটি রুপি নিয়ে নির্বাচন করেছেন। কে দেশ বেচে। পরাজিত শক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এর জবাব জনগণকে একদিন দিতে হবে। এই মার্চ মাসেই রাজাকারদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আজ দেখুন মানুষের ঢল।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উনি কী ভেবেছেন, তত্ত্বাবধায়ক এলে উনাকে একেবারে কোলে তুলে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। উনাকে তো কোলে তুলে ক্ষমতায় বসাবে না। কিন্তু উনার বোঝা উচিত, তত্ত্বাবধায়ক এসে উনাকেই জেলে পুরেছিল। তাঁর দুই ছেলেকে উত্তমমধ্যম দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছিল। আর এবার যদি তত্ত্বাবধায়ক আসে, তাহলে তাঁদেরকে ধরে এনে কারাগারে পুরবে। সেটা উনার মনে রাখা উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুইটি বছর এ দেশের সাধারণ মানুষ কীভাবে যে নির্যাতিত হয়েছে, সকলেরই তা মনে আছে। আমরাই একসময় তত্ত্বাবধায়ক চেয়েছিলাম। কারণ, বিএনপি ভোট চুরি করেছিল—ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করেছিল।’ তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে যে কী অত্যাচার করেছিল, বাংলার মানুষ তা ভোলে নাই। তাঁরাই আবার বড় কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।