আবারও ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধের ঘোষণা দিল বাংলাদেশ
রুপম হালদার, এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ আবারও ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধের ঘোষণা দিল বাংলাদেশ বস্ন্যাকহ্যাট হ্যাকার। ঘোষণার প্রথম দিনই তারা ভারতের শতাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। ভারতীয় সাইবার হ্যাকারদের যুদ্ধ ঘোষণার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ৭ মার্চ (বুধবার) একটি ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছে বস্ন্যাকহ্যাট হ্যাকারস দলের মিডিয়া রিলেশন বিভাগ। বেশ কিছুদিন বিরতির ৩ মার্চ বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শেয়ারবাজার বিষয়ক তিনটি ওয়েবসাইটে হামলা চালায় ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপ টিম গ্রে হ্যাট। এর জবাবে ৪ মার্চ হ্যকারইন্ডিয়া ডটকমের ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাংলাদেশের সাইবার হ্যাকারদের গ্রুপ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি। সাইটটি হ্যাক করে কেবল এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই নেয়নি বাংলাদেশি এই হ্যাকারদল বরং তারা মুছে ফেলে ওই সাইটটির সব তথ্য এবং হোমপেজে এনিমেটড করে আপলোড করে ফেলানী থেকে শুরু করে সমপ্রতি ঘুষের দাবিতে গরু ব্যবসায়ীকে নির্যাতনসহ সব চিত্র। এ যুদ্ধে এবার ফের যোগ দিল বাংলাদেশ বস্ন্যাকহ্যাট হ্যাকার। বুধবার যুদ্ধ ঘোষণার প্রথম দিনই তারা সবঃধষবধৎহরহফরধ.পড়স, সবফরধধৎপধফব.হবঃ, সরংংরড়হনৎধযসধ.পড়স, রহফরধংযড়ঢ়ং.রহ, ংযধৎবংঢ়ধপব.পড়.রসহ প্রায় শতাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি সীমান্তে দেশের নাগরিকদের নিরাপদ জীবনের দাবিসহ বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যে ভারতের সঙ্গে ‘সাইবার যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ বস্ন্যাকহ্যাট হ্যাকার। তখন একটি ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছিল তারা বাংলাদেশের সাইবার যোদ্ধা। তারা স্বাধীনতাবিরোধী বা ধর্মীয় সন্ত্রাসী নয়। বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ, টিপাইমুখ বাঁধ বন্ধ, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর, ভারতীয় কোনো টেলিভিশন চ্যানেল আমাদের দেশে আসবে না, যদি আসে তাহলে আমাদের সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে পুরো ভারতে চালানোর ব্যবস্থা করাসহ ভারতকে বাংলাদেশ বিরোধী সব কর্মকা- বন্ধ করার দাবিতে এ সাইবার যুদ্ধ করছে বলে ওই ই-মেইল বার্তায় বাংলাদেশ বস্ন্যাকহ্যাট হ্যাকাররা লিখেছিল।
১১ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, যুব ও ক্রীড়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে ভারতীয় হ্যাকাররা। এর জবাবে বিএসএফের একটিসহ ভারতের প্রায় ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাংলাদেশি হ্যাকাররা। তখন এ সাইবার যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয় ‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি’, ‘বাংলাদেশ বস্ন্যাকহ্যাট হ্যাকার’ ও এক্সপায়ার সাইবার আর্মি নামে হ্যাকাররা। আর বাংলাদেশি হ্যাকারদের সমর্থন দিয়েছিল আন্তর্জাতিক হ্যাকার দল ‘অ্যানোনিমাস’। এ ছাড়া পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, চীনা হ্যাকাররা ও সৌদি আরবের শক্তিশালী হ্যাকাররা। অন্যদিকে সাইবার যুদ্ধে ভারতের হ্যাকাররা বাংলাদেশের ৩০০ ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল। আর বাংলাদেশি সাইটগুলোতে আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারতের ‘ইন্ডিশেল’ হ্যাকার দল। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদে এ হ্যাকিং যুদ্ধ তখন রীতিমতো ঝড় তুলেছিল ভারতসহ বিশ্ব গণমাধ্যমগুলোতে। এরপর বেশকিছু দিন বিরতির ৩ মার্চ বাংলাদেশস্টক ডটকম, বিডিস্টক ডটকম এবং এশিয়াস্টক ডটকম নামে শেয়ারবাজারভিত্তিক ৩টি সাইটে আক্রমণ চালায় ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপ টিম গ্রেহ্যাট। এ ছাড়া তারা হ্যাক হরে কিছু ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটও। আক্রমণ হওয়া ওই ওয়েবসাইটগুলোর হোমপেইজে তারা লিখে, ‘আমরা টিম গ্রেহ্যাট হ্যাকার, আমরা সাইবার যোদ্ধা এবং সাইবার যুদ্ধের শ্রেষ্ঠবীর। হ্যাক করার পর সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তখন তারা জানায়, আমরা বেশ কিছুদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সাইবার যুদ্ধ দেখেছি। স্বজাতি ভাইদের অনুরোধ রক্ষা করতেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ আক্রমণ শুরু করেছি।