ছিনতাইকারীর খপ্পড়ে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক!
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ চলন্ত গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে গাড়িটিসহ আরোহীদের সব মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আর গাড়ির আরোহীদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি)। ৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার অতিরিক্ত ডিআইজি আবু মুসা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজে কর্মরত রয়েছেন। তিনি এর আগে ঢাকার ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদে ছিলেন। এ বিষয়ে ছিনতাই হওয়া গাড়িটির চালক ইমদাদুল শেখ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। গাড়িটি আবু মুসার ভাগ্নের (ভায়রার ছেলে) বলে জানিয়েছেন চালক ইমদাদুল। ছিনতাইয়ের সময় অতিরিক্ত ডিআইজির দেহরক্ষী সঙ্গে ছিলেন না।
ইমদাদুল জানান, আবু মুসার ভায়রা গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। তাঁকে দেখে ভোর পৌনে চারটার দিকে মুসাকে মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডের বাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে একই পরিবারের দুজন নারী ছিলেন। বাবর রোডের অনুরাগ সুপার শপের গলি দিয়ে ঢুকে ডান মোড় নিয়ে গাড়িটি খিলজি রোডে ঢোকার পরই অন্য একটি প্রাইভেট কার তাঁদের পাশ কাটিয়ে সামনে গিয়ে বাধা তৈরি করে। ওই প্রাইভেট কার থেকে পাঁচ-ছয়জন অস্ত্রধারী যুবক নেমে দাঁড়ান। যুবকেরা বলেন, ‘গাড়িতে অবৈধ জিনিস আছে। তল্লাশি করা হবে।’ এ সময় আবু মুসা বলেন, তাঁদের এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সেখান থেকে ফিরছিলেন। অস্ত্রধারী যুবকেরা এটা শুনে বলেন, ‘সরি।’ এরপর তাঁরা অস্ত্রের মুখে গাড়ির সবাইকে নামিয়ে চারটি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের চেইন, নারীদের দুটি হাতব্যাগ ও চালকের কাছে থাকা নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর তাঁরা এক্স করোলা গাড়িটিও ছিনিয়ে নিয়ে চালিয়ে চলে যান। তবে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইমাম হোসেন এসবিডি নিউজকে বলেন, গাড়িটি আবু মুসার ভায়রার ছেলের। ওই গাড়িতে আবু মুসা ছিলেন না। মামলার এজাহারেও এ রকম কোনো বিষয় উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ভোরে পুলিশ খবর পেয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে ওই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শ্যামলীতে ওই গাড়ি থেকে ছিনতাই হওয়া দুটি ব্যাগ ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ব্যাগে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ওসি বলেন, ছিনতাইকারীরা কাউকে আঘাত করেনি।
গাড়িটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। পুলিশ নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে।