বরিশালে মাদক ব্যবসা রমরমাঃ প্রশাসন নীরব!
অপু হালদার, বরিশাল থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মহাজোট সরকারের আইনি ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ম্যানেজ করে দক্ষিণঅঞ্চলে অভাদে চলছে মাদক ও ভারতীয় নেশাজাতিয় ওষুধের রমরমা ব্যবসা । দক্ষিণঅঞ্চলের কোথাও থেকে নেই মাদকের অবাধ বিচরণ । মাদক গডফাদার অসিম এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে । প্রতিদিন নিত্যনতুন কৌশলের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় এসব মাদক গডফাদার অসিম তার অবৈধ মাদক ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও মাদক গডফাদার সন্ত্রাসী অসিমের দৌরত্ম্যে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দক্ষিণঅঞ্চলের জনজীবন । দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে শত শত কেজি গাঁজা প্রবেশ করছে। ছদ্মবেশে প্রাইভেটকার, ট্রাক বা মাইক্রোবাসে বহনে এসব গাঁজার চালান দক্ষিণঅঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে মাদক । আগে দক্ষিণঅঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গাঁজা আনা হতো ২০ কেজি থেকে ৩০ কেজি একটি চালানের মাধ্যমে। এখন এ চালানে গাঁজার পরিমাণও বেড়ে গেছে। সম্প্রতি ফেনসিডিলের ব্যবহার কমে যাওয়ায় মাদকসেবীদের মধ্যে গাঁজা ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এ সুযোগে ঐ মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের সদস্যরা সীমামত্ম এলাকা থেকে গাঁজা দক্ষিণঅঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আনা হচ্ছে । বরগুনা, পটুয়াখালী,ঝালকাঠী, পিরোজপুর,বরিশাল,ভোলা বর্তমানে মাদকসেবীদের ও ব্যবসায়ীদের মদ ও গাঁজার সহজলভ্যতায় দিন দিন মাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকসেবীদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন জনগন জানান । ছাত্র যুব সমাজ মাদক সেবনের ফলে ধ্বংসের পথে । এজন্য সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে । জানা যায়, দক্ষিণঅঞ্চলের এমন কোন জেলা, থানা, গ্রাম নেই যেখানে মাদকসেবী খুজে পাওয়া যাবে না । এছাড়া মাদক কেনা বেচার জন্য বরিশাল নতুবাদ বাস র্টারমিনাল ও কাশিপুর এলাকা সবচেয়ে ক্রাইম স্পট হিসেবে পরিচিত। এসব কিছু প্রশাসন অবগত হয়েও এখন পর্যমত্ম চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেনি । এমন কি মাদক বিরদী অভিযানেও দক্ষিণঅঞ্চলে মাদক গডফাদার অসিমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ও র্যার । সূত্রে জানা যায়, বরিশাল মহানগর ও ঝালকাঠি সদর উপজেলা বাসী এখন এক চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ীর লাগামহীন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । এমনকি উক্ত মাদক ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে শত শত স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া কিশোর পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে মাদক ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করেছে । জানা যায়, ঝালকাঠি পৌরো এলাকার রামনগর গ্রামের সাহা বাড়ীর মৃতঃ রনোজিৎ রায় এর ছেলে অসিম রায় ওরফে অসিম সাহা । ঝালকাঠি সদর বাস র্টারমিনালে ও নতুলস্নাবাদ, কাশিপুর বাস র্টারমিনালে রেন্টেকার এর ড্রাইভার এর আড়ালে মাদক ব্যবসা দির্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে দক্ষিণঅঞ্চলের বিভিন্ন জোলায় মাদক ব্যবসা করে চলছে । আর এ মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে উল্টো ওই মাদক ব্যবসায়ী অসিম এলাকাবাসীদের বিভিন্ন ভয়ভিতি ও মিথ্যা মামলার ফাঁসাবে বলে হুমকি দেয় । ড্রাইভার এর আড়ালে এলাকার শতাধিক স্পটে তার দোকান থেকে দেশী চোলাই মদ, হিরোইন, ফেন্সিডিল সহ নানা রকমের মাদক দ্রব্য বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে । ঝালকাঠি পৌরো এলাকা, নতুলস্নাবাদ বাস র্টারমিনাল ,গরিয়ার পাড় ,কাশিপুরবাজার , রূপাতলি বাস টারর্মিনাল ও বরিশাল মহানগরের একাধিক এলাকাবাসী জানান, উক্ত মাদক ব্যবসায়ীর কারনে এ সব এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই মাদক ব্যবসায়ী অসিমের মাদক স্পট গুলোতে মদ ও জুয়ার আসর বসে । স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতার কারন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় কিভাবে ওপেনসিক্রিটভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সচেতন সুশীল সমাজের মাঝে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। জানা যায় ,সম্প্রতি সন্ধ্যার পর বিভিন্ন রকমের মাদক দ্রব্য বিক্রিকালে মাদক সম্রাট অসিম রায় ওরফে আসিম সাহাকে বরিশাল বিমান বন্দর থানা পুলিশ গরিয়ার পার থেকে দশ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় কিন্তু রহস্যজনক কারনে আবার থাকে তখনি ছেড়ে দেয়া হয় এবং পরে দিন বরিশাল বিমান বন্দর থানার ওসি তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে আলাপ পরামর্স করে বলে জানা যায়। এই মাদক ব্যবসায়ী অসিম দির্ঘ দিন থেকেই মাদকে ব্যবসা করতো বরিশাল সহ বিভিন্ন এলাকায় কিন্তু তার বিভিন্ন নাম রয়েছে । আর সে নামেই ব্যবসা চালাতো কিন্তু তত্তাবধায়ক সরকার আমলে তার বিভিন্ন স্পর্ট বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে ভারত পালিয়ে যায় এবং আবার ভারত থেকে ফিরে এসে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি শুরু করে তা এখনও অব্যাহত । তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগী হিসাবে কাজ করে আসছে তার দূর সম্পর্কের ভাই বিশ্ব (২২), শাওন (২২)। আর ঝালকাঠি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগী হিসাবে কাজ করে আসছে জেলার বাস র্টারমিনালে ও রেন্টেকার র্টারমিনালে ট্রাক ড্রাইভার সুভাস(৩০) তির্থ (২০) সহ আরও বরিশাল নতুলস্নাবাদ বাস টার্মিনালের নামধারী মাসত্মান গাড়ীর ড্রাইভার এবং বিভিন্ন জেলার মাদক পাচার সহ বিভিন্ন অবৈদ কাজে সহযোগিতা করছে রেন্টেকার হুন্ডা ও রেন্টেকার গাড়ির ড্রাইভার। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে দক্ষিণঅঞ্চেলোর বিভিন্ন থানায় আভিযোগ ও একাধিক মামলা, সরকারি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির মামলা , মাদক ব্যবসায়ীর মামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ চাঁদাবাজীর অভিযোগসহ বহু মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে । ঝালকাঠী পৌরো এলাকার রামনগর গ্রামের দোলোয়ার হোসেন জানান, ঝালকাঠী সদর উপজেলার রামনগর গ্রামে অসিম সাহা ওরফে অসিম রায় এর নিজস্ব বাহিনী তৈরি ও সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে রামরাজত্ব কায়েম করছে। তার অপকর্মে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি এবং তার গরু, ছাগল চুরিসহ নানান সমস্যায় পড়তে হয়। দির্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে রামনগর গ্রামের পাশেই কৃর্তিপাশা মোড়, ঝালকাঠী সদর কলেজ মোড়, সহ একাঠিক স্থানে সে গাঁজা বিক্রি করে আসছে। এ ব্যাপারে পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার আশ্রয়ে আরো বেপরোয়াভাবে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গ্রামের কয়েকজন সাহসী যুবক প্রতিবাদ করায় অসিম সাহা ওরফে অসিম রায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে। সম্প্রতি অসিম সাহা ওরফে অসিম রায় বিরুদ্ধে গ্রামের হাসান নামের এক যুবক মামলা করতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে বলে হাসান জানান। এবং হাসান আরো জানান , অসিম সাহা ওরফে অসিম রায় দক্ষিণঅঞ্চলের ভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসা করে আসছে । আর প্রসাশনের লোকদের মোটা অঙ্কে উৎকোচ দিয়ে দিয়ে এ ব্যবসা বীরদর্পে চলিয়ে যাচ্ছে । এলাকাবাসী জানিয়েছেন ,অসিম সাহা ওরফে অসিম রায় দির্ঘদিন ধরে তার আড্ডায় গাঁজার আসর বসিয়ে জমজমাট গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বিভিন্নি প্রতিকা অনুসন্ধানে জানা গেছে বরিশালে র্যাবের অভিযান, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান, পুলিশ প্রশাসনের অভিযান উপেক্ষা করে অসিম মাদক গডফাদার এর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা দক্ষিণঅঞ্চলে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । চোরাই তেল, ওষুধের স্যাস্পল ও মাদক বিক্রয় করে এই অসিম লকপতি বনে গেছে। অসিম তার ব্যবহৃত ০১৯১১৯৬৮৩৬২, ০১৯৩৭১৩১০৯৪, নাম্বার গুলো ব্যবহার হচ্ছে মাদক ব্যবসায়। এ ব্যাপারে ঝালকাঠী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, আমি নতুন আসছি । আমি কিছু জানি না । তবে খাতিয়ে দেখা হবে ।