নাইক্ষংছড়ি ।।পর্যটকের নতুন ঠিকানা
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেক্সঃ পার্বত্য উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি পতিত পাহাড়ির ঢালুতে বাণিজ্যিক ভাবে আকিজ ওয়াইল্ড ফার্ম কুমির প্রজননের খামারকে ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতুহল। প্রতিদিন শত শত লেকজন এই খামার দেখতে আসায় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নতুন ঠিকানা এখন এই কুমির প্রজনন খামারটি। পর্যটন শিল্পের বিকাশ সহ রপ্তানীর ক্ষেত্রে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বর্পূণ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বালুখালীর পুর্ব পার্শ্বে একখন্ড পাহাড়ি পতিত জমি। এখানে কোন জন বসতি বলতে নেই। চারিদিকে পাহাড় আর রাবার বাগান। মাত্র ৩০ একর পাহাড়ি ঢালুতে গড়ে তুলেছে সাড়ে তিন’শ কুমিরের আবাসন। বানিজ্যিক ভাবে ২০০৯ সালে ৫০ টি নোনা প্রজাতির কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়া এবং মালেশিয়া থেকে আমদানী করা এসব কুমির পাহাড়ী পরিবেশে নিজেদের মধ্যে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। মালেশিয়া থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত একটি কুমির আনতে খরচ পড়েছে। প্রায় তিন লক্ষ টাকা। ১ বছর লালন পালন পালনের পর একটি কুমির থেকে আট থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করা যায়। কুমিরের চামড়া এবং তৈল মূল্যবান তবে দেশের অভ্যন্তরে এর চাহিদা না থাকলে ও বিদেশে রপ্তানীর লক্ষ্যে কুমিরের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১২ সালের মধ্যে পর্যায় ক্রমে আরো ৩০০ টি কুমিরের বাচ্চা আনা হবে। এই কুমির খামারকে ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে সম্ভাবানা। তারা আগামী ২০১৩ সালে এই খামার থেকে কুমিরের চামড়া, মাংস, হাড় ইউরোপের বাজারে রপ্তানী করার টার্গেট নিয়েছে। এভাবে রপ্তানীর ক্ষেত্রে ওদ্যোক্তা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি সরকারও এখাতে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। গত ২ নভেম্বর ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে খুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন শতশত লোকজন এই খামার দেখতে ছুটে আসছে। খামারটি এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বেসরকারী উদ্যোগে স্থাপিত দেশের বৃহত্তম কুমির খামার পর্যটন শিল্পের বিকাশ সহ রপ্তানীর ক্ষেত্রে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বর্পূণ অবদান রাখবে। এই পাহড়ী জমিতে কুমির প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় লেক ও কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে এ পানির ডোবা তৈরী সহ প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। এদিকে পর্যটন শহর কক্সবাজারের অদূরে স্থাপিত এই কুমির খামারটি দেশ-বিদেশ হতে আসা পর্যটকদের কাছেও অন্যতম বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবেও পরিনত হবে। যে সব পর্যটক কক্সবাজার এসে সেন্টমার্টিন ভ্রমনে যাবেন প্রতিমধ্যে এ কুমির খুমির খামারটি দেখার ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি ও বিনোদনের অন্যতম আকর্ষন হয়ে উঠেছে।