শেরপুরে মহাসড়কে বেরিকেড দিয়ে পণ্যবাহী কনটেইনারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মহাসড়কে বেরিকেড দিয়ে একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সীর পণ্যবাহী কনটেইনারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সশস্ত্র ডাকাতদল কনটেইনারের চালক ও হেলপারকে প্রথমে পেটায়। পরে তাঁদের অজ্ঞান করে কনটেইনার ভর্তি অন্তত ১০লাখ টাকার রকমারি বিস্কুট সামগ্রী লুটে নেয়। ২৯মার্চ (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগাব্রিজ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মালামাল লুটে নেয়ার পর আজ ভোররাতে ডাকাত সদস্যরা কনটেইনারসহ চালক ও হেলপারকে হাত-পা-মুখ-নাক কসটেপ দিয়ে বেধে শহরের খন্দকার টোলা মাজারগেট এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরীয়তপুরের ডামুডা উপজেলার নাগলা গ্রামের চালক মামুন (২৫) জানান, নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল চিটাগাং রোডস্থ রহমান কোল্ডষ্টোর মার্কেটে অবস্থিত মেসার্স সাহিদা ট্রান্সপোট এজেন্সীর একটি কনটেইনার (ঢাকা মেট্রো ট-১১-২৯৪৮) ঢাকা থেকে অলিম্পিক কোম্পানির রকমারি বিস্কুট নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নঁওগা ও মান্দার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে রাত অনুমান ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগাব্রিজ নামক স্থানে পৌঁছলে গতিরোধকের আশেপাশে ওৎপেতে থাকা ৬-৭জন ডাকাত সদস্য মহাসড়কে বেরিকেড দিয়ে পণ্যবাহী কনটেইনারের গতিরোধ করে। পরে সশস্ত্র ডাকাত সদস্যরা চালক মামুন ও হেলপার ওয়াসিমকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে চেতনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এমনকি তাঁদের হাত-পা ও মুখ-কান কসটেপ দিয়ে বেধে কনটেইনার চালিয়ে নিয়ে যায় সশস্ত্র ডাকাত সদস্যরা। এরপরের কোথায় কি হয়েছে। কীভাবে তাঁর কনটেইনারের পণ্য লুটপাট করা হয়েছে। কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোথায় খালি কনটেইনারসহ তাঁদের দু’জনকে ফেলে দেয়া হয়েছে। এসব কোন কিছুই জানাতে পারেন নি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চালক মামুন। শুধু জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন বুঝতে পারেন। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও জানাতে পারেন নি ওই চালক। তবে মেসার্স সাহিদা ট্রান্সপোট এজেন্সীর সত্ত্বাধিকারী আলাউদ্দিন বলেন, তাঁর মালিকানাধীন কনটেইনার ডাকাতের কবলে পড়ছে। এমনকি ডাকাতদলের মারপিটে চালক ও হেলপার আহত হয়ে শেরপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে মোবাইল ফোনে জানতে পেরেছেন। সে মোতাবেক তিনি শেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আলাউদ্দিন বলেন, সম্ভবত কনটেইনারে অনুমান ৮লাখ টাকার বিস্কুট সামগ্রী ছিল। তবে এর সঠিক হিসাবে কোম্পানির লোকজন দিতে পারবেন বলে তিনি দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কনটেইনারের চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।