স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভগ্নিপতির বাড়ী থেকে দুটি চোরাই গাড়ি উদ্ধার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ২৪ ডট কমঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ ফ ম রম্নহুল হকের ভগ্নিপতি নাজমুল আরেফিন মিল্টুর সাতক্ষীরা শহরের বাসভবন থেকে চোরাই একটি প্রাইভেটকার ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নাম্বার বিহীন গাড়ি দুটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভগ্নিপতি নাজমুল আরেফিন মিল্টুর শহরের দীঘির পাড়ের বাসভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার গাড়ি চোরাই ও প্রতিরোধ টিমের কর্মকর্তা ও ঢাকা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আ: নূর। এসময় তার সাথে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাকিম, সাব ইন্সপেক্টর আমিরুল ও সাব ইন্সপেক্টর খন্দকার হাফিজুর রহমান। সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই মাহমুদ তাদের সাথে থেকে সহযোগিতা করেন।
শতাধিক মানুষের সামনে থেকে পুলিশ নাজমুল আরেফিন মিল্টুর বাড়ী থেকে একটি হান্ড্রেট টেন মডেলের টয়োটা প্রাইভেটকার ও নাম্বারবিহীন একটি অত্যাধুনিক মাইক্রোবাস উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুল ইসলাম, আবু জাহিদ, খোকন, শহীদসহ কয়েকজন জানান, বিকেলে পুলিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভগ্নিপতি নাজমুল আরেফিন মিল্টুর বাড়ীতে অভিযানে আসেন। সেখান থেকে দুটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সুত্র জানায়, অভিযানে আসা ডিবি পুলিশ মন্ত্রীর ভগ্নিপতিকে বাঁচাতে তার বাড়ি থেকে জব্দ না দেখিয়ে বাড়ীর পাশ্ববর্তী পৌর দীঘির পাড় থেকে জব্দ দেখিয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, ঢাকা থেকে ওই চোরাই গাড়ী দুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগিনা মাহমুদুল হক জামি এনে তারা পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম খান জানান, ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়ী দু’টি গাড়ি উদ্ধার করেছে শুনেছেন। থানার বাইরে থাকায় তিনি এর বেশী কিছু জানেন না। সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন শেখ জানান, ঢাকার ধানমন্ডি থানার মামলা নং ১৭ তারিখ ২২/০১/১২ ধারা ৩৯৪। এ মামলার আলামত হিসেবে গাড়ি দুটি জব্দ করা হবে। গাড়ি দুটি আপাতত সাতক্ষীরা থানায় রাখা হয়েছে। পরে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। অভিযানের সাথে থাকা এসআই মাহমুদের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার অভিযানে আসা ঢাকা ডিবি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাকিম বলেন, গাড়ী দু’টি ঢাকা থেকে চুরি হয়। গাড়ির মালিকদের দায়ের করা মামলায় তারা কয়েকজন চোরও ধরেছেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে তারা বেনাপোল ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন। অভিযানের ধারাবাহিকতায় তারা সাতক্ষীরায় এসে প্রেসক্লাবের পাশে দিঘীরপাড়ের একটি রাস্তা থেকে গাড়ি দুটি উদ্ধার করেন। সম্পূর্ন চালু অবস্থার দুটি গাড়ি রাস্তার ওপর মালিক বিহীন কিভাবে পড়ে থাকতে দেখলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকতা বলেন, এসব নিয়ে খবর প্রকাশ হলে তাদের অভিযান ব্যহত হবে। পরে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে।