এই লজ্জা কার?
আগে জানতোম সাংবাদিকদের কোন শত্রু নেই। আমরা সকলের। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সংঙ্গে যারা জড়িত। তাদের উপর যখন অমানবিক নির্যাতন হয় বিনা বিচারে হত্যা কিংবা গুম হয় তখন তাদের পরিবাররা পাশে সাংবাদিক সমাজ-ই দাড়ায়। সাংবাদিক সমাজ সব কিছু দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে। আমাদের চাওয়া পাওয়াওতো বেশী নয়। প্রতিমাসের বেতন পেলে আমরা ছুটে যাই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। দেশে যখন বন্যা হয় তখন সবাই ঘরে বসে থাকে বিলাস… বহুল অট্টলিকায় যারা থকেন তারা ঘরে বসে খিছুরি খান আর টিভি কিংবা পত্রিকায় যা লেখা হয় তা পড়ে সব কিছু জানেন। আমরা জীবন বাজি রেখে ছুটে যাই অসহায়দের কাছে। দেশে যখন র্দুযোগ সৃষ্টি হয় তখন দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে তুলে ধরি আসল চিত্র। আর তা দেখে বিদেশী ডোনাররা চলে আসে সাহায্যের হাত বারিয়ে। আমরা তো দেশ ও সমাজের কোন ক্ষতি করিনা। তা হলে কোথায় আমাদের দোষ? কেন আমাদের মেরে ফেলে? কেন আমাদের পঙ্গু করে দেয়? বলতে পারেন? জানি এর জবাব কেউ দিতে পারবেনা। কারন হচ্ছে রাষ্ট্র প্রধান কিংবা সরকার প্রধান যেই হোক বা যে দলেরই হোক সে তখন মানুষ থাকেনা। তখন সে ক্ষমতার অহংকারে ডুবে থাকে। যখন তিনি বিরোধী দলে থাকেন তখন সে সাংবাদিকদের জন্য মায়া কান্নায় ডুবে থাকেন। ক্ষমতায় গিয়ে অতিত ভুলে যান। সেজন্য সাংবাদিক সমাজকে নিরাপত্তা দিতে পারেন না। অথচ সচিব পুলিশের ওসি, এসপি চকিদার ,দফাদার , দলীয় নেতা চোর বাটফার, ভুমিদসু্দের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এমপি মন্ত্রীরাতো সর্বক্ষনিক আছেনই নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। তারা রং সাইড দিয়ে গাড়ী চালায় তখন পুলিশ বাশি ফুকে অন্য গাড়ী সরায়।
এজন্য বলতে হচ্ছে, অবাক পৃথিবি অবাক করেছে মোরে। সাগর আর রুনির মত আপদ মস্তক নিরহ দাম্পত্য সাংবাদিককে হত্যা ঘটনায় দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরাপ্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ঘৃনা জামিয়েছে সাংবাদিক সমাজের মনে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে, যে এলাকায় হত্যা কিংবা ছিনতাই রাহাজানি ঘটবে, সেই এলকার সংশ্রিষ্ট ওসি টহল পুলিশ এবং ডিসি এসিতক এর জবাব দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কর্তা বাবু আপনি কী জবাব নিয়েছেন? তারা কোথায় হুইসেল বাজিয়ে ডিউটি করেছে?
আপনি জবাব নেননি। জবাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানানর ওসি এবং ডিসি এ সি এতক্ষনে সাসপেন্ড হতো।
লেখকঃ আজমল হক হেলাল(সিনিয়র রিপোর্টার,দৈনিক সকালের খবর)