সাইবার যুদ্ধ বাংলাদেশ বনাম ভারত
মাহবুব আলম,এসবিডি নিউজ২৪ ডট কমঃ কয়েকদিন থেকে শুরু হত্তয়া সাইবার যুদ্ধ আজ তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে দুই দেশের মাঝেই। এখন অনলাইন আর বাস্তব জগত দুই জায়গাই আলোচনার বিষয়বস্তু একটিই। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় হ্যাকারদের মাঝে ত্তয়েব সাইট দখলের যুদ্ধ। কে কত সাইট দখল করতে পারে! এক্ষেত্রে বাংলাদেশী রয়েল বেঙ্গল টাইগার-ই এগিয়ে আনুপাতিক হারে। ভারতীয় হ্যাকার সরকারী সাইটগুলো সহজেই দখল করতে পারছে একটি কারণেই দুর্বল পার্সত্তয়ার্ড তথা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যথাযথভাবে সাইটগুলো দেখাশোনা করার জন্য উপযুক্ত জনবলের অভাবে সাইটগুলো হ্যাক হচ্ছে সহজেই। কিন্তু যেসাইটগুলো ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত হয় সেগুলোর ক্ষতি এখন পর্যন্ত হয়নি। পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে উভয় পক্ষই সমান সমান। বাংলাদেশী সাইবার গ্রুপ গুলো একত্রিত হয়ে এজন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে জন্য দেশের মান রক্ষার জন্য সকল প্রকারের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, ফেসবুক গ্রুপ, ফ্যান পেজের দিকে নজর দিলেই এর বার্তা ধ্বনিত হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে আবার শুরু হচ্ছে দেশ রক্ষার যুদ্ধ। তবে সেটি দেশী সাইট রক্ষার যুদ্ধ। ভারতীয় হ্যাকারদের দমন করার জন্য Bangladesh Cyber Army (BCA), a1um1n1um Cyb3r R3g1m3nt (ACR),BANGLADESH BLACK HAT HACKERS (BBHH) সহ আরো কয়েকটি গ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপ গুলো প্রায় ১০০টির মত বাংলাদেশী সাইট হ্যাক করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপগুলো সম্মিলিতভাবে সমান তালে ভারতীয় সাইটগুলো হ্যাক করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের হ্যাকারগ্রুপ বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সীমান্তে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে হ্যাকিং শুরু হলেত্ত এখন তা দুইটি দেশের মধ্যে ডিজিটাল জবর-দখলের যুদ্ধ পরিণত হয়েছে অনলাইন জগতে। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত বাংলাদেশী হ্যাকারগ্রুপ একটির পর একটি ভারতীয় সাইট নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া 450+ Twitter,900+ Facebook আইডি হ্যাক করা হয়েছে ভারতীয়দের। এটি বাংলাদেশী শিবিরের জন্য একটি বড় পাত্তয়া। সংশ্লিষ্ট মহল যদি এই মুহূর্তে দৃষ্টিপাত না করলে সরকারী সাইটগুলো রক্ষা করা সম্ভবপর হবে না কোন ভাবেই। কেননা যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা এর নিরাপত্তা বিধান সম্পর্কে অনেকটাই অজ্ঞ।
(তথ্য: BCA,BBHH গ্রুপ থেকে সংগ্রহিত)