ঢাকার জয় এবং মাশরাফির প্রমাণ
ক্রীড়া প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ২৪ ডট কমঃ অনেকদিন আন্তর্জাতিক খেলার বাইরে। ঘরোয়া লিগেও বেশি ম্যাচ খেলেননি। তাই টোয়েন্টি২০ টোয়েন্টি২০ ছিল মাশরাফির প্রমাণের সুযোগ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই অভিযানে সফল বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। যদিও নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে ওই ২ উইকেটই সিলেট রয়্যালসকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। আগের ম্যাচের দুই উজ্জ্বল পারফরমার পিটার ট্রেগো ও অলক কাপালীকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি। অধিনায়কের উজ্জ্বল পারফরমেন্সের দিন নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন ঢাকার আনামুল হক, তার ৪৮ রানের ওপর ভর করে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। তবে গতকালের দুই ম্যাচের মধ্যে আলাদা করে বলতে হবে নাসির জামশেদের কথা। পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ৪৭ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে চিটাগাং কিংস ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা রয়্যালসকে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সিলেট ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়াতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। তাতে ঢাকার বোলারদের যতটা অবদান তার চেয়ে নিজেদের রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটের দুর্বলতাই বেশি ভুগিয়েছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে। ৪টি রান আউট হয়েছে তাদের ইনিংসে। বলার মতো রান করেছেন নাঈম ইসলাম। ২৪ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি। শেষে ১ বল বাকি থাকতে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহ ১২৪-এ অলআউট হয় সিলেট। জবাবে ঢাকার শুরুটাও ভালো হয়নি। আজহার মাহমুদ আউট হয়ে যান ৯ রানে। ইমরান নাজিরও ২০ বলে ২৬ করে আউট হয়েছেন ব্রাড হগের বলে। ৬৫ বলে ২ উইকেট হারানো ঢাকার রান তারপরও থেমে থাকেনি আনামুল হকের প্রত্যয়ী ইনিংসে। বাকি কাজটুকু সেরে আসেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও ড্যারেন স্টিভেন। দিনের প্রথম ম্যাচে শিবনারায়ণ চন্দরপলের ৫০ বলে ৫৯, হার্শেল গিবসের ২৯ বলে ৩৪ এবং ডুয়াইন স্মিথের ২৬ বলে ৩৯ রানে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়েছিল খুলনা। কিন্তু এক জামশেদই চিটাগাংয়ের জয় নিশ্চিত করেন। তার ৮৬ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি ৪ এবং ৩টি ৬। ক্রিকইনফো।